হাইকোর্টের নির্দেশনার পরও গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না দেয়ায় সিইসি কেএম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছেন দলটির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী। গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া মামলাটি করেন। মামলায় নূরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চাওয়া হয়েছে।
মামলা দায়ের প্রসঙ্গে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে বিগত ২৮.১২.২০১৭ নির্বাচন কমিশনের নিকট আবেদন করে। ওই আবেদন নির্বাচন কমিশন ১৯.০৬.২০১৮ইং তারিখে প্রেরিত পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না মর্মে অবহিত করে। পরবর্তীতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ সাকি উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়ের করেন। উভয়পক্ষের শুনানি অন্তে উক্ত রিট মামলায় উচ্চ আদালত রায় ও আদেশের কপি প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন প্রদানের আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রদান করেন। গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে উক্ত রায় ও আদেশের সত্যায়িত কপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনকে দাখিল করা হয়। আদালত থেকেও নিয়ম অনুযায়ী রায় ও আদেশের কপি প্রেরণ করা হয়।
কিন্তু আদালতের সুস্পষ্ট রায় ও নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরপর বিভিন্ন সময়ে উক্ত রাজনৈতিক দলের পক্ষে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো ফল না পাওয়ায় বিগত ১০.১০.২০২১ইং তারিখে নিয়োজিত বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত অবমাননার নোটিশ প্রেরণ করা হয়। উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বৃহস্পতিবার গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে মো. জোনায়েদ সাকী প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব কেএম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছেন।