রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীতে বালিপাথর লুটতরাজ বন্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ কেশবপুরে বিশ্ব শিশু দিবস পালন ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধন শ্রীপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ ভালুকায় বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ ঈশ্বরগঞ্জে স্কুলছাত্র রাব্বি হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কালীগঞ্জে এক রাতে ৯ গরু চুরি ভুক্তভোগী খামারীদের আহাজারী কলমাকান্দায় দশম গ্রেডের দাবীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন নেত্রকোণা পৌরসভার সড়কে খানাখন্দ দুর্ভোগে পথচারীরা ত্রিশালে শহীদ ও আহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান লামায় চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন

আইসিইউতে ছড়াকার সুকুমার বড়ুয়া

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

একুশে পদকপ্রাপ্ত ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক সুকুমার বড়ুয়াকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সুকুমার বড়ুয়ার ছেলে অরূপ রতন বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন বাবা হার্ট অ্যাটাক করে বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি। পরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। অবস্থা আগের চেয়ে ভালো, তবে শঙ্কামুক্ত নয়। সবাই সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করবেন।’
এর আগে, ২০০৬ সালে ব্রেইন স্ট্রোকের পর সুকুমার বড়ুয়ার ডান পা অবশ হয়ে যায়। এর পর থেকেই হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন ৮৩ বছর বয়সী এই ছড়াকার। ১৯৩৮ সালের ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার মধ্যম বিনাজুরি গ্রামে জন্ম নেন ছড়াকার সুকুমার বড়ুয়া। ষাটের দশকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন।
১৯৬৩ সালে তোপখানা রোডে ছয় টাকায় বেড়ার ঘর ভাড়া করে স্বাধীনভাবে লেখালেখি শুরু করেন। কচিকাঁচার আসর, খেলাঘর আর মুকুলের মাহফিলে তার লেখা ছাপা হতে থাকে। ১৯৯৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কিপার হিসেবে অবসরে যান। প্রায় ৬০ বছর ধরে ছড়া লিখে সুকুমার বড়ুয়া ‘ছড়ারাজ’, ‘ছড়াশিল্পী’, ‘ছড়াসম্রাট’ ইত্যাদি নানা অভিধায় অভিষিক্ত হয়েছেন। ব্যঙ্গাত্মক, হাস্যরসাত্মক, নৈতিক শিক্ষামূলক রচনার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর রাজনৈতিক বার্তাও তার লেখায় এসেছে। ‘পাগলা ঘোড়া’, ‘ভিজে বেড়াল’, ‘চন্দনা রঞ্জনার ছড়া’, ‘এলোপাতাড়ি’, ‘নানা রঙের দিন’, সুকমার বড়ুয়ার ১০১টি ছড়া, ‘চিচিং ফাঁক’, ‘কিছু না কিছু’, ‘প্রিয় ছড়া শতক’, ‘নদীর খেলা’, ছোটদের হাট, মজার পড়া ১০০ ছড়া, সুকুমার বড়ুয়ার ছড়াসম্ভার (২ খ-), ‘যুক্তবর্ণ‘, ‘চন্দনার পাঠশালা’, ‘জীবনের ভেতরে বাইরে’ সুকুমার বড়ুয়ার উল্লেখযোগ্য ছড়ার বই। সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com