আগামী ২৬ মার্চ হতে আন্তঃদেশীয় মিতালি এক্সপ্রেস ট্রেনটির চলাচলের প্রথম যাত্রা নিয়ে চলছে জোড় প্রস্তুতি। ট্রেনটি চলবে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট হতে নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি হয়ে নিউ জলপাইগুড়ি (এনজিপি) পর্যন্ত। মিতালির প্রথম যাত্রাকে সামনে রেখে শুক্রবার(১৮ মার্চ) নীলফামারীর চিলাহাটি রেলষ্টেশন ও ভারতের হলদিবাড়ি সীমান্ত খালপাড়া রেলগেট এলাকা (বাংলাদেশ অংশ) পরিদর্শন করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। পরিদর্শন শেষে রেলপথ মন্ত্রনালয়ের সচিব উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, মিতালি এক্সপ্রেসের পাশাপাশি করোনাকালিন ২০২০ সালের ২৭ মার্চ হতে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা -কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও খুলনা- কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেসও পুনরায় চালু করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এ জন্য উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। আগামী ২০ মার্চ রবিবার মন্ত্রনালয়ে বৈঠকের পর এ ব্যাপারে চুড়ান্ত ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৬ মার্চ হতে আন্তঃ দেশীয় মিতালি, মৈত্রী ও বন্ধন চলাচল করতে শুরু করবে। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কমার্শিয়াল বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন, আরএনবি অফিসার (পার্বতীপুর) শফিকুল ইসলাম, ডিএন (পার্বতীপুর) বেলায়েত হোসেন ও চিলাহাটি রেলওয়ে প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম সহ প্রমুখ। এ দিকে সব ঠিক থাকলে প্রতিকী উদ্বোধন হওয়ার ঠিক এক বছরের মাথায় চিলাহাটি হয়ে ভারতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বহুকাক্সিক্ষত ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি মিতালি এক্সপ্রেস। যা দীর্ঘ প্রায় ৫৮ বছর পর হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিসেবা। এনজেপি থেকে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত চলবে ট্রেনটি। সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা চালুর প্রস্তুতি নিতে ভারতের পক্ষেও গতকাল বৃহ¯পতিবার(১৭ মার্চ) হলদিবাড়ি ব্লকের খালপাড়ায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের রেলগেটের সামনে কাস্টম, ইমিগ্রেশন, বিএসএফ ও রেলের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি অজয় সিং, এডিআরএম সঞ্জয় চিলওয়ার, চিফ ইমিগ্রেশন অফিসার সৌকত সাহা, সিনিয়ার ইমিগ্রেশন অফিসার রনধির কুমার সহ আরও অনেকে। তারও আশা করছেন সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৬মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের দিন মিতালি এক্সপ্রেস চলাচল করবে। উল্লেখ যে ২০২১ সালের ২৭ মার্চ প্রতিবেশী দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী মিতালি এক্সপ্রেসের ভার্চুয়ালি ভাবে প্রতিকী উদ্বোধন করেছিলেন। করোনার কারণে সেদিন উদ্বোধন করা হলেও ট্রেনটি বাংলাদেশ থেকে আর ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশের রেলমন্ত্রনালয়।