নেত্রকোনায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) দ্বারা নির্মিত ফসল রক্ষা বাঁধের কারনে প্রায় ৩০ হাজার একর জমির ফসল অকাল বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। হাওরে পানি প্রবেশের আগেই ৬ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার কাজ ৭০ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নেত্রকোনা বিএডিসি সূত্রে জানা গেছে, জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার গাগলাজুড় ইউনিয়নের বরান্তর মৌজায় বিএডিসি কর্তৃক প্রায় ১০ বছর আগে নির্মিত হয় ৬ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ। গত ৩০ মার্চ থেকে ০২ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতের চেরাপুঞ্জিতে প্রবল বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনা বিভিন্ন নদ- নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে হাওরাঞ্চলের হাজার হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান হুমকির মুখে পড়ে। জেলার ধনু নদীতে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পায়। পানি বৃদ্ধির ফলে বিএডিসি’র বাঁধটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়। খবর পেয়ে বিএডিসি’র লোকজন বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করে। এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। শুরু হয় বাঁধ সংস্কারের কাজ। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষ করা হবে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ন জায়গা সংস্কার করা কাজ শেষ করা হলে । এতে হাজার হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান রক্ষা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিএডিসি দ্বারা সংস্কার হওয়া বাঁধ এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কয়েকজন শ্রমিক বাঁধ এলাকায় কাজ করছেন। বাঁধের ওপর ফেলানো মাটি সমান ও সড়কের পাশে মাটি সড়ে না যাওয়ার জন্য আগাছা রোপন করছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর আলম চৌধুরী জানান, বিএডিসির মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়ায় মোহনগঞ্জের ডিংগাপোতা, বলরামপুর, খালিয়াজুরীর ইছাপুর, আসাদপুর ও মদনের গোবিন্দশ্রীসহ আরও বেশ কিছু হাওরের বোরো ফসল রক্ষা পাবে। বিএডিসি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পূর্বাঞ্চল) প্রকৌশলী স্বপন কুমার হালদার ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শনে এসে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি রক্ষা করার জন্য বিএডিসি’র চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় জরুরী ভিত্তিতে প্রটেকশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।