গোপলগঞ্জ জেলার কাশিয়ানীর মাঠে প্রান্তরে কৃষকের সোনালী হাসির উকি মারছে। আশার রুঙ্গিন স্ব্প্ন দেখছে কৃষক। ধানের ক্ষেতে সোনালী রং ছড়াছে। কৃষকের সোনালী হাসি উকি মেরে চলছে মাঠে। কাশিয়ানী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে (ক্ষেতে) ধানের শীষে সোনালী লং ধরছে। ধানের ক্ষেতের সোনালী রং মানুষের মনকে রঙ্গিন করে তোলে। সেই সাথে উপজেলার কৃষকদের মন রঙ্গিন করে তুলছে। ভাল ফলনে কৃষক দেখছে রংঙ্গিন স্বপ্ন। বুক বেধেঁ আগামী দিনের স্বপ্ন দেখছে উপজেলার কৃষকরা। মাত্র কয়েক দিন পরেই পুরাদমে ধান কাটা শুরু হবে উপজেলার সর্ব্বত্রই। কৃষকরা ইতিমধ্যেই ধান কাটা ও মারাই করা জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। উপজেলা পারুলিয়া ইউনিয়নের পারুলিয়া গ্রামের কৃষক মোঃ বিল্লাাল হোসেন ও আশিকুল ইসলাম হোসেন জানান, এ বছরে আগের বছরের চেয়ে অনেক বেশী ফলন হয়েছে। শিলা বৃষ্টি ঝড় না হলে অনেক বেশী ফলন হবে ধানের। তারা আরো জানায়, এ বছরে উপসহকারি কৃষি অফিসাররা অনেক বেশী তদারকী করেছেন। নিয়মিত খোজঁখবর নিয়েছে। উপ-সহকারি কৃষি অফিসার মোঃ মাজারুল ইসলাম,উপ-সহকারি কৃষি অফিসার সজল ইমরান, উপ-সহকারি কৃষি অফিসার মোছা: পারভিন সুলতানা এ প্রসংঙ্গে আলাপ কালে জানান,অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে ধানের ফলন বেশী হয়েছে। আমরা অনেক বেশী চাষীদের সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করেছি। উপজেলার নিম্মাঞ্চালে ধানের বেশী চাষ হয়েছে। ওই এলাকায় ফলন অনেক ভাল হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা কাজী এজাজুল করিম জানান,কাশিয়ানী উপজেলাা খাদ্য উদ্বৃত্ত্ব একটি উপজেলা। দীর্ঘ দিন যাবত এই উপজেলা এলাকা চাহিদার তুলনায় খাদ্য উদ্বৃত্ত্ব উপজেলা হিসাবে স্বীকৃত। তিনি আরো জানান,কাশিয়ানী উপজেলার নিম্নাঞ্চল হিসাবে সিংগা, হাতিয়াড়া, পুইসুর, নিজামকান্দি, ওড়াকান্দি, মাহমুদপুর, পারুলিয়া,বেথুড়ী শতভাগ চাষযোগ্য জমিতেই রোর ধানের চাষ করা হয়েছে। সেই হিসাবে এ বছরে ধানের আবাদ ও উৎপাদনের বেশী হবে বলে আমরা মনে করছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সন্জয় কুমার কুন্ডু এ প্রতিবেদককে জানান, এ বছরে উপজেলা মোট ১২ হাজার ২ শত ৯৬ হেক্টর জমিতে বোর ধানের চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে এক লক্ষ মেট্রিক টন। যা গত বছরের তুলনায় ০১ হাজার ১২ হেক্টর বেশী। (গত বছরে ছিলো-১১ হাজার ০২ শত ৭৪ হেক্টর)। গত বছরের এ উপজেলায় ৮৪ হাজার ৫ শত ৫৫ মেট্রিক টন ধানের উৎপাদন হয়েছিলো। উৎপাদনের লক্ষ্যেমাত্রা অনুসরে এ বছরে উপজেলা এলাকায় খাদ্য উদ্বৃত্ত হবে ২০ হাজার ২ শত ৮৭ মেট্রিক টন। তিনি আরো জানান, আমাদের কৃষক ধান কাটার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কৃষক ধান কেটে ঘরে তোলার আগে যদি বড় ধরনের কোন ঝড়বৃষ্টি বা শিলা বৃষ্টির মত কোন দুর্যোগ না হয় এবং ধানের মূল্যে ঠিকঠাক থাকে তাহলে আমাদের কৃষকরা এ বছরে বেশী লাভবান হবে।