শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে ভারতীয় সেনা পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য সুব্রামানিয়ান স্বামী। ভারতের নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই প্রতিবেশী দেশটিতে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি ও এর সঙ্গে ভারতীয় স্বার্থ নিয়ে দু’দিন ধরে একের পর এক টুইট-রিটুইট করে চলছেন ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুব্রামানিয়ান। গত মঙ্গলবার (১০ মে) এক টুইটে শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় সেনা পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ বিজেপি নেতা বলেন, (শ্রীলঙ্কায়) সাংবিধানিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে ভারতকে অবশ্যই সেনাবাহিনী পাঠাতে হবে। বর্তমানে ভারতবিরোধী বিদেশি শক্তি (লঙ্কান) জনগণের ক্ষোভের সুযোগ নিচ্ছে। এটি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। এই দাবির পক্ষে আরও একাধিক টুইট করেছেন সুব্রামানিয়ান। তার রিটুইট করা এক পোস্টে বলা হয়েছে, ভারতকে এই বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে। ভারতকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে, নাহলে অন্য সামরিক বাহিনী (চীন, যুক্তরাষ্ট্র ইত্যাদি) শ্রীলঙ্কায় আসবে এবং পরে ভারতের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।
শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ দমনে ভারতীয় সেনা পাঠাতে বললেন বিজেপি নেতা শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানিয়ে এ বিজেপি নেতা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, সংসদ সদস্যদের গুলি করে হত্যা করার অর্থ দাঙ্গাবাজরা সহানুভূতির যোগ্য নয়। আমরা আমাদের পাশে আরেকটি লিবিয়া হওয়ার সুযোগ দিতে পারি না। আরেক টুইটে সুব্রামানিয়ান বলেন, ১৯৮৭ সালে (তৎকালীন) লঙ্কান প্রেসিডেন্ট জয়াবর্ধনে উত্তর শ্রীলঙ্কায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে ভারতীয় সৈন্যদের জন্য একটি চুক্তি করেছিলেন। সেখানে আমরা সফল হই এবং স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু রণসিংহে প্রেমাদাসা কলম্বোয় ক্ষমতা গ্রহণের পর তাৎক্ষণিকভাবে এলটিটিই’কে অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহ শুরু করেন। তাই বিশ্বাসঘাতকতার কারণে আমরা ভারতীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাহার করে নেই। শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রেমাদাসা তামিল বিদ্রোহীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন- এমন দাবির পক্ষে পরে আরও কয়েকটি টুইট করেছেন ভারতের প্রভাবশালী এ নেতা। তার একটিতে বলা হয়েছে, পুরোপুরি সহমতৃ দুর্বল প্রতিবেশী কখনোই শুভ নয়।