গত এক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ডুবে যাচ্ছে চরের ভুট্টাক্ষেত এবং বৃষ্টির কারণে ভুট্টা পরিচর্যা করতে না পারায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলের ভুট্টা চাষিরা চরম বিপাকে পরেছে। বিশেষ করে ভুট্টা রোদে শুকাতে না পারায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেকের ঘরে জমা রাখা ভুট্টা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাথায় হাত দিয়ে বসেছে ভুট্টা চাষিরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষাবাদ হয়েছে। এর সিংহভাগ চাষ হয়েছে তিস্তার চরাঞ্চলে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ভুট্টার ফলনও ভাল হয়েছে। ইতিমধ্যে ভুট্টা কাটামাড়াই পুরোদমে শুরু হয়েছে। তালুক বেলকা চরের ভুট্টা চাষি রেজাউল ইসলাম জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছে। ইতিমধ্যে ভুট্টা কেটে ঘরে নিয়ে এসেছে। কিন্তু বৃষ্টি বাদলের কারণে ভুট্টা পরিচর্যা করতে পারছে না। এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বর্ষনের কারণে এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে নিচু এলাকার ভুট্টাক্ষেতে পানি উঠেছে। এতে ভুট্টা চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তার দাবি এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেকের ভুট্টা নষ্ট হয়ে যাবে। বেলকা বেকরির চরের কৃষক হাবিব মিয়া জানান, ২বিঘা জমির ভুট্টা গত এক সপ্তাহ হতে ঘরের মধ্যে জমা রাখা রয়েছে। রোদে শুকাতে না পারায় বিক্রি করতে পারছে না। তিনি বলেন, একবিঘা জমিতে ভুট্টা চাষাবাদ করতে খরচ হয় ১২ হাজার টাকা। ফলন ভাল হলে বিঘা প্রতিপ্রতি ৪০ হতে ৫০ মন ভুট্টা পাওয়া যায়। বর্তমান বাজারে প্রতিমন ভুট্টা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার হতে দেড় হাজার টাকায়। সময় মত ভুট্টা শুকাতে না পারলে তাকে লোকসান গুনতে হবে। সুন্দরগঞ্জ বাজারের ভুট্টা ব্যবসায়ী বাবু মিয়া জানান, সময়মত ভুট্টা রোদে শুকাতে না পারলে ভুট্টা কালচে বর্ণ ধারণ করবে। সে সব ভুট্টা মহাজনরা নিতে চায় না। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে ভুট্টার দাম ভাল। বর্তমান বাজারে প্রতিমন ভুট্টা ১ হাজার হতে দেড় হাজার টাকায় ক্রয় কার হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল করিব জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলে ভুট্টার ফলন ভাল হয়েছে। অল্প খরচে অধিক লাভের আশায় কৃষকরা এখন ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। বৃষ্টির কারণে ভুট্টা চাষিরা একটু বিপাকে পরেছে।