এশিয়ার একমাত্র মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে দ্বিতীয় দফায় নমুনা ডিম দিয়েছে মা মাছ। শনিবার (১৪মে) রাত সাড়ে দশটার পর থেকে রাত দুইটা পর্যন্ত হালদার মাছুয়াঘোনা ও নয়াহাট পয়েন্টে ডিম সংগ্রহকারীরা কিছু সংখ্যক নমুনা ডিম পায়। ডিম সংগ্রহকারী মোঃ শফিউল আলম বলেন, রাত সাড়ে দশটার দিকে জোয়ার আসলে আমরা প্রতিদিনের ন্যায় ডিম সংগ্রহের জাল নদীতে ফেলি। প্রথমবার জাল তুলে দেখাতে পাই কিছু সংখ্যক নমুনা ডিম জালে আটকেছে। পরে আবারো জাল ফেলি তখনো কিছুসংখ্যক নমুনা পাওয়া যায়। এভাবে প্রায় এক একজন আড়াইশো গ্রাম পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করে। তবে এখনো সম্পূর্ণ ডিম ছাড়েনি মা মাছ। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে, বৃষ্টি হলে কিংবা পাহাড়ী ঢল আসলেই সম্পূর্ণ ডিম ছাড়বে আশাবাদী আমরা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে প্রথমবার অল্পসংখ্যক নমুনা ডিম ছাড়ে মা মাছ। এসময় ডিম সংগ্রহ করা ১০-৩০টি পর্যন্ত নমুনা ডিম পায় বলে জানান। তবে দ্বিতীয় দফা নমুনা ডিমে সংখ্যায় বেশি পাওয়া গেছে। ডিম সংগ্রহকারীদের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জানান, আমরা নৌকা এবং অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত আছি। আমরা হালদা নদীতে বলা যায় পাহারা দিচ্ছি। ডিম ছাড়ার উত্তম মুহূর্তগুলোতে আমরা হালদায় তীক্ষ্ণ নজর রেখেছি। পাশাপাশি আমাদের হ্যাচারী গুলোর প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি পরিবেশ-পরিস্থিতি ভালো থাকলে এবার আশানুরূপ ডিম পাওয়া যাবে। হালদা পাড়ে সরোজমিনে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিচার-বিশ্লেষণে জানা গেছে, পাহাড়ি ঢল কিংবা বৃষ্টিপাত না হওয়া পর্যন্ত মা মাছ সম্পূর্ণ ডিম ছাড়বে না। তবে হালদা পাড়ের ডিম সংগ্রহকারীরা রাত দিন ডিম সংগ্রহের জন্য হালদা পাহারা দিচ্ছেন। যেকোনো সময় মা মাছ সম্পূর্ণ ডিম ছাড়বে এমনটাই প্রত্যাশা তাদের। নিয়মিত হালদা নদী ও হ্যাচারীগুলো পরিদর্শন করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিদুল আলম।