শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯ অপরাহ্ন

পিতার দেয়া অপহরণ মামলায় নব-দম্পতি দিশাহারা, বরের বাবা, মা ও ভাই গ্রেফতার

আনিছুর রহমান মানিক ডোমার (নীলফামারী) :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১ জুন, ২০২২

পিতার দেয়া অপহরণ মামলায় নব-দম্পতি দিশাহারা হয়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অপরদিকে কনের পিতার দেয়া মিথ্যা অপহরণ মামলায় বরের বাবা, মা ও ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর জেলার খানসামা থানায়। জানা যায়, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার উত্তর শাহাপাড়া শ্বাষকান্দর এলাকার আব্দুল হাদী’র অনার্স ৪র্র্থ বর্ষের কলেজ পড়–য়া ছেলে জাহিদ হাসান এর সাথে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার বাশুুলী শাহাপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের কলেজ পড়–য়া কন্যা রাফিয়া জান্নাত রাফির দীর্ঘ ২ বছর যাবত প্রেম ভালবাসা চলে আসছে। বিষয়টি রাফির পরিবারের লোকজন জানতে পেরে রাফিকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার জন্য তরিঘরি করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে রাফি ও জাহিদ স্বইচ্ছায় গোপনে গত ২০/০৪/২০২২ইং তারিখে নীলফামারী নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেফিটের মাধ্যমে বিবাহের হলফনামা সম্পাদক করেন। এর পরে গত ০১/০৫/২০২২ইং তারিখে ১লক্ষ ১শত ১টাকা দেন মোহর ধায্য করে ইসলামী সরিয়া মতে নিকাহ রেজিষ্ট্রার (কাজী) দ্বারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। নববধু রাফিয়া জান্নাত রাফি বলেন, আমার পরিবারকে একাধীক বার বলার পরেও আমাদের সম্পর্ককে মেনে না নেয়ায় গত ১৭/০৫/২০২২ইং তারিখে আমি আমার স্বামীর বাড়িতে চলে যাই। শুশুর বাড়িতে সকলে আমাকে মেনে নিয়েছে, ভালই কাটছিল আমার নতুন সংসার জীবন। আমার বাবা প্রভাবশালী হওয়ায় মেয়ের সুখের কথা না ভেবে শক্রতার জের ধরে আমার স্বামী, শশুর, শাশুরী ও ভাশুরের নামে খানসামা থানায় মিথ্যা অপহরণ মামলা নং-(১২), তারিখ-২৮/০৫/২০২২ইং দায়ের করে। সেই থেকে আমি ও আমার স্বামী পুলিশের ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছি। গত ২৮/০৫/২০২২ইং তারিখে গভীর রাতে খানসামা ও সৈয়দপুর থানার পুলিশ আমার শশুর বাড়িতে গিয়ে আমার বৃদ্ধ শশুর আব্দুল হাদী(৬২) শশুরী জাহেদা খাতুন(৫৮) ও ভাশুর মতিয়ার রহমান(৪৫)কে আটক করে খানসামা থানায় নিয়ে যায়। আমরা নব-দম্পতি মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমি সুখে শান্তিতে স্বামীর সংসার জীবন অতিবাহিত করতে চাই। এ বিষয়ে জাহিদ হাসান বলেন, আমরা উভয়কে স্কুল জীবন থেকে ভালবাসি কেউ কাউকে ছাড়া সুখি হতে পারবো না। অভিভাবকরা আমাদের ভালবাসা মেনে নেয়নি। যেহেতু আমরা দুজনে প্রাপ্ত বয়স্ক তাই বাধ্য হয়ে গোপনে বিয়ে করেছি। আমরা মামলার হাত থেকে বাঁচতে চাই এবং সুখের সংসার করতে চাই। খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেনের কাছে মামলার বিষয়ে জানতে চেয়ে একাধীকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিফ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শামীম মিয়া গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২৮/০৫/২০২২ইং তারিখে হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা সহ ৫ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৭/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করে। তাদের মধ্যে এজাহার ভুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করে দিনাজপুর জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com