জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ঘটনা নিয়ে দেবিদ্বারের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সমর্থিত নেতাকর্মীদের পাল্টা পাল্টি কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। সাংসদ রাজীর সমর্থিত কয়েক হাজার নেতাকর্মী কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ সহ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে উপজেলা চেয়ারম্যানের বহিস্কার দাবি করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে উপজেলা সদরে সড়ক অবরোধ করে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী চলা ওই অবরোধ বিক্ষোভের ফলে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি হাজী আবুল কাশেম ওমানীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শেষে নিউ মার্কেট স্বাধীনতা চত্বরে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদব বাবুল হোসেন রাজু, কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শিরিন সুলতানা, দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এড.নাজমা বেগম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য প্রভাষক সাইফুল ইসলাম শামিম, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন সরকার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান মোল্লা, সহ সভাপতি মোঃ শাহাদাৎ হোসেন মিঠু, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান সুমন, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু কাউছার অনিক,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক ইকবাল হোসেন রুবেল সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ। বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মীরা ঝাড়– প্রদর্শন করে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দিয়ে তাঁকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি করেন। সমাবেশে যুবলীগের সভাপতি হাজী আবুল কাশেম ওমানী বলেন, সংসদ ভবনের এলডি হলে দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ দলের প্রবীন নেতা রুহুল আমিনকে লাঞ্ছিত করেই ক্ষান্ত হননি স্থানীয় এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলকে নিয়ে নানা কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য করে যাচ্ছেন। তাই এলডি হলের ভিডিও ফুটেজ দেখে আবুল কালাম আজাদকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানান তিনি। সমাবেশে বক্তারা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সহযোীরা গত বুধবার বিএনপি জামায়াতের লোকজর নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের নামে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ঘটনা আড়াল করতে চেয়েছেন। এর আগে ১৬ জুলাই জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার ২য় পর্বে বিকালে একটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা নিয়ে এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রথমে বাগবিতন্ডা এবং পরে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি ও কিল ঘুসির ঘটনা ঘটে। পরে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মু. রুহুল আমিন বিষয়টি সুরাহা করতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ তাঁকে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনার প্রায় ৩ মিনিটের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রুপ উপজেলায় পাল্টা পাল্টি মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মীরা উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দিয়ে তাঁকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি করেন। বিক্ষোভ সমাবেশে উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকা থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।