আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে হলে সব দলকে এক হয়ে আন্দোলন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেছেন, আমি আমার মত অন্যদল তাদের মত করে আন্দোলন করলে এই সরকারের কিছুই করতে পারব না। তবে সরকারের অবস্থা খুব ভয়াবহ। ভালো করে একটা ধাক্কা দিতে পারলে সরকারের মসনদ জ্বালিয়ে দেওয়া যাবে।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির বহুমাত্রিক প্রভাব ও বাংলাদেশের গন্তব্য কোন পথে শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আজ দেশের লোডশেডিং সংকট, পেট্রল, অকটেনের মূল্য বৃদ্ধি, জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন। দেশে এখন মধ্যবিত্ত নাই। মধ্যবিত্তের একটা অসুখ হলে টাকার জন্য তারা চিকিৎসা নিতে পারবে না। সবাই গরিব হয়ে গেছে।
বিভিন্ন পত্রিকার তথ্য সূত্র টেনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, দেশের অর্থনীতির খারাপ অবস্থার কারণে ঢাকা ছেড়ে অনেক পরিবার গ্রামে চলে যাচ্ছে। এমন ঘটনা লকডাউনেও হয়েছে, এখনো হচ্ছে। তাহলে দেশের উন্নয়নের কথা বলে আওয়ামী লীগ মিথ্যা বলে কেন? মূলত এরা গুন্ডা, বাটপার ও প্রতারকের দল। এদের ক্ষমতায় রাখা যাবে না।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বললেন বাংলাদেশ সরকার থেকে আমাদের কাছে কোনো অর্থ পাচারের তথ্য চাওয়া হয়নি। অথচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, সুইজারল্যান্ড রাষ্ট্রদূত মিথ্যা বলছেন। এটা নিজের মিথ্যা ঢাকার পায়তারা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেছেন, এই সরকারের কাছে কিছু আশা করা যায় না। তারা দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করে দিয়েছে। তাদের ছোট নেতারাও হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। বড় নেতারা কত হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে এবার হিসেব করে দেখুন এবং বাংলাদেশে বর্তমান যে রিজার্ভ আছে তার চেয়েও বেশি ডলার তাদের কাছে আছে।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেন, বাংলাদেশ এখন লোডশেডিং এবং দুর্নীতির রোল মডেল। সুতরাং এই জালিম সরকারের পতন ঘটাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন ঐক্যবদ্ধ আছি।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা’র সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন, এনডিপির চেয়ারম্যান কারী আবু তাহের, কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির পিন্টু, বিএনপির নির্বাহীকমিটির সদস্য এলবার্ট পি কস্ট্রা, জাগপা’র প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, জাগপা’র সহসভাপতি ও রাজনৈতিক মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, যুব জাগপা’র সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান ফারুকী প্রমূখ।