জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের বারবার বাধা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য অশুভ লক্ষণ। গতকাল শনিবার আততায়ীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পিরোজপুরের জাতীয় পার্টির নেতা শফিকুল ইসলামকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে না পারলে আগামী দিনে দেশে মারাত্মক রাজনৈতিক সহিংসতা দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক কর্মকা- চালাতে আমাদের বিভিন্ন জায়গায় বাধা দেয়া হচ্ছে।‘ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধায় গাজীপুরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে পারেনি তার দল। তাদের দল গাজীপুরে শান্তিপূর্ণভাবে মত প্রকাশের জন্য সমাবেশ করার চেষ্টা করেছিল। কাদের আরো বলেন, ‘আমরা যদি বাধাপ্রাপ্ত হই, তাহলে রাজনীতি কিভাবে স্বাভাবিক হবে এবং স্বাভাবিক রাজনীতি কোথায় বিরাজ করবে? যদি এভাবে স্বাভাবিক রাজনীতির পথ রুদ্ধ করা হয়, তাহলে আমি আশঙ্কা করছি দেশ ভবিষ্যতে বড় ধরনের সহিংসতার দিকে যাবে এবং এটা আসন্ন নির্বাচনের জন্য অশুভ লক্ষণ‘। সংসদের উপনেতা আরো বলেন, ক্ষমতাসীন দল বিরোধীদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে একটি বার্তা দিচ্ছে যে, তারা আগামী নির্বাচনে তাদের পেশীশক্তি ব্যবহার করতে প্রস্তুত। ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা সহিংসতায় বিশ্বাস করি না।’ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের যদি এসব করতে বাধা দেয়া হয়, তাহলে এখানে স্বাভাবিক রাজনীতি চলবে না। স্বাভাবিক রাজনীতি হিংসাত্মক রাজনীতিতে রূপ নিবে এবং স্বাভাবিক রাজনীতি শেষ পর্যন্ত বিলুপ্ত হতে পারে। আমাদের জন্য একটি বিশাল বিপদ ডেকে আনবে’।
তিনি অভিযোগ করেন, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুসখালী ইউনিয়নে স্থানীয় জাপার সাধারণ সম্পাদক শফিকুলকে (শফিকুল) স্থানীয় আদালতে যাওয়ার পথে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা কুপিয়ে তার একটি পা কেটে ফেলেছে। জি এম কাদের দুঃখের সাথে বলেন, ‘শফিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়। এখন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বেঁচে গেলেও তাকে সারাজীবন পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়েই থাকতে হবে’। এ সময়তিনি শফিকুলের ওপর হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।