সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমীর পূজা প্রতি বছরের মতো এবারও মহা ধুমধামে ও ব্যাপক আনন্দ উৎসাহের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে। মহা অষ্টমীতে অনুষ্ঠিত হলো কুমারী পূজা। সোমবার সকাল ৯ টা থেকে পৌর শহরের কলেজপাড়া মিলন মন্দিরে শুরু হয় কুমারী পূজা। প্রায় মন্দিরেই একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয় এই পূজা। এ সময় ভক্তদের পদযাত্রায় মুখরিত হয় পূজা অঙ্গন। কুমারী পূজায় মন্দিরে আগত শিশুদের মধ্যে চিপস্ ও চকলেট বিতরণে ব্যতিক্রম আয়োজন করে কমিটি।দুর্গাপূজার অন্যতম বৈশিষ্ট্য কুমারী পূজা। দেবী পুরাণে কুমারী পূজার সুষ্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। এ ব্যাপারে মিলন মন্দিরের পুরোহিত সন্তোষ ব্যানার্জি বলেন, সব স্ত্রী লোক ভগবতীর এক-একটি রূপ। শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর বেশি প্রকাশ। কুমারী পূজার মাধ্যমে নারী জাতি হয়ে ওঠে পবিত্র ও মাতৃভাবাপন্ন। ১৯০১ সালে সনাতন ধর্মের অন্যতম প্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ সর্ব প্রথম নয়জন কুমারী দিয়ে এ পূজার পুনঃপ্রচলন করেন। তখন থেকে প্রতি বছর দুর্গাপূজার অষ্টমীতে এ পূজার আয়োজন করে আসছে সনাতন ধর্মালম্বীরা। পূজার আগ পর্যন্ত এ পূজায় অংশ গ্রহনকারী কুমারীর পরিচয় গোপন রাখা হয়। পূজা মন্ডপ কমিটির পক্ষে তপন কুমার সাহা জানান, মন্দিরে আগত সকল শিশুদের মধ্যে চিপস্ ও চকলেট বিতরণের ব্যতিক্রম আয়োজন করে মহা উৎসবে অষ্টমী পূজা পালন করা হয়। তিনি আরও বলেন, রবিবার ছিল দুর্গোৎসবের মহা সপ্তমী। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে মহা সপ্তমী। নবপত্রিকা স্থাপনের মধ্য দিয়ে মহাশক্তি আনন্দময়ীর পূজা শুরু করা হয়। মহা সপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে অর্থাৎ ষোলোটি উপাদানে দেবীর পূজা শুরু হয়। দুপুরের পর থেকে ম-পগুলোতে ঢল নামে ভক্ত, অনুরাগী ও দর্শনার্থীদের। শুধু হিন্দু ধর্মালম্বীরাই নন, সব ধর্মের দর্শনার্থীরাই ম-পে ম-পে প্রতিমা দেখতে ভিড় জমান। পূজাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মেলায়ও ভিড় করেন তারা। মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক রতন কুমার সাহা বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারের দায়িত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা পূজা ম-প পরিদর্শন করেছেন। এছাড়াও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারাও মন্দিরে এসে পূজার ভক্ত ও অনুরাগীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন ও পূজার খোঁজ খবর নিচ্ছেন উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, থানাধীন ৮৭ টি দূর্গাপুজা সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা নেই।