ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজীর সময় নারীসহ ৭জনকে গ্রেফতার করেছে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ। জানাযায়, গত ১২অক্টবর উপজেলার ইউসুফের বাগ গোরস্থান মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সমাজসেবা মন্ত্রনালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে মাদ্রাসা অডিট করার খরচের টিএ/ডিএ বাবদ ৩ হাজার টাকা চাঁদা নেয় এবং অডিট খরচ বাবদ আরো ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। সেখান থেকে পৌর সদরে বাকাইল এতিমখানা মাদ্রাসায় গিয়ে একই ভাবে চাঁদা আদায়ের চেষ্টাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারীসহ ৭ জন আটক করে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, সাংবাদিক পরিচয়ের কার্ড ও ক?্যামেরা, নগদ টাকা, সমগ্র বাংলাদেশের এতিমখানা মাদ্রাসার লিস্ট সহ ৫ জন পুরুষ ও ২ জন নারীকে আটক করেছে। এ বিষয়ে ১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় প্রেস রিলিজ করেছেন আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, এই প্রতারক চক্রটি ঢাকা গাজীপুর থেকে এসেছিল বলে তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্টােেন গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদাবাজি, কখনো নারী দিয়ে ধনাঢ?্য ব?্যক্তিদের প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে ব্লাকমেইলের ম?্যধ?্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছলো।আটককৃতরা মূলত একটি প্রতারক চক্র। তাদের কাছে বিভিন্ন ভুয়া কাগজপত্র পাওয়া গেছে। প্রাথমিক পর্যায় তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী প্রমাণিত হয়েছে। এঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-৪ তাং ১২.১০.২২। আজ তাদের কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হায়দার(৩০) নোয়াখালী জেলার সুধারাম উপজেলার সোনাপুর গ্রামের আহসানউল্লাহ মাস্টারের ছেলে। ভুয়া সাংবাদিক রেজাউল করিম খান(২৫) জামালপুর জেলার সদর উপজেলার খরখড়িয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম খানের ছেলে,আরাফাত হোসেন(২৩) গাজীপুর জেলার বাসন উপজেলার মোঘরখাল গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে, শামীম হোসেন(৪০) গাজীপুর জেলার বাসন উপজেলার মধ্য চান্দড়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে, ড্রাইভার আতাউর রহমান(৪৫) গাজীপুর জেলার বাসন উপজেলার দিঘীরচালা গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে। অপরদিকে আরও দু’জন ভুয়া নারী সাংবাদিক জীবনী(১৮) শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের আ. রাজ্জাকের মেয়ে ও সোমা(১৮) জামালপুর জেলার সদর উপজেলার জুয়াইলপাড়া (সুলটিয়া বাজার) গ্রামের শাহজাহান আলীর মেয়ে। মামলার বাদী উপজেলার ইউসুফেরবাগ গোরস্তান মাদ্রাসা ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা মোঃ শরফুদ্দিন মোল্যা সাংবাদিক জানান, এ ঘটনার দিন আমি নিজ বাড়িতে দুপুরের খানা খেতে বাড়িতে যাই,ইতিমধ্যে আমার মাদ্রাসার শিক্ষক হাসমত আমাকে মোবাইল ফোনে জানায় যে, মাদ্রাসায় অডিট করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিক এসেছে। এ সংবাদ শুনে আমি দ্রুত মাদরাসায় প্রবেশ করি। আমাকে দেখে তারা ম্যাজিস্ট্রেট ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বলে, সমাজসেবা মন্ত্রনালয়ের অনুমতি স্বাপেক্ষে মাদ্রাসায় অডিট করতে এসেছি। মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনেক দূর্নীতি হচ্ছে। এক পর্যায় তারা অডিট করার খরচের টিএ ও ডিএ বিল বাবদ আমার নিকট হইতে ৩ হাজার টাকা চাঁদা গ্রহন করে তারা এবং অডিট খরচ আরও ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। বাকী টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য নির্দেষ দেয়।