ষড়যন্ত্রমুলকভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে শনিবার(২২ অক্টোবর) লামা রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ লিয়াকত আলী নামের এক সমাজ সেবক তিনি বলেন,ব্যক্তিগত সমস্যাকে সামাজিক সমস্যা হিসাবে উল্লেখ, এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ, ধর্মীয় অনুভূতিকে ইস্যু করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, বৈধভাবে ক্রয়কৃত সম্পদ জবরদখলের পায়তারা এবং মিথ্যা প্রভাকান্ড ছড়িয়ে সম্মানহানি করা সহ কিছু ভূমি দস্যু কুচক্রী মহল আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লামা উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লিয়াকত আলী বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ মধ্যম হায়দারনাশী গ্রামে সরকারি তৌজিভুক্ত নিজ নামীয় জায়গায় বসতবাড়ি নির্মাণ করে শান্তিপ্র্ণূভাবে বসবাস করে আসছি, জমিতে চাষাবাদ ও ফলদ-বনজ বাগান সৃজন করে ভোগ দখলে আছি। গত ১৬ অক্টোবর ২০২২ইং কক্সবার্তা টিভি নামে এই ফেসবুক পেইজ সহ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে আমার ও আমার পরিবারের নামে মিথ্যা, অসত্য ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। যা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার পায়তারা। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমার নিজ নামীয় লামা উপজেলার ২৮৬নং ফাঁসিয়াখালী মৌজার আর/১০৬৬নং হোল্ডিংয়ে ৮০ শতক জায়গা রয়েছে। আমি অত্র এলাকায় একজন স্থায়ী বাসিন্দা। অথচ এলাকার কিছু লোকজন বলে, আমি এই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নয় বলে অপপ্রচার করছে। নিজ এলাকা মধ্যম হায়দারনাশী গ্রামের উন্নয়নে আমি সর্বদা সচেষ্ট রয়েছি। নিজ উদ্যোগে ব্যক্তিগত অর্থ ব্যয়ে মসজিদ, মাদ্রাসা ও রাস্তাঘাট সংষ্কার করেছি। আমি এলাকাবাসীর পক্ষে গ্রামের রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, ড্রেন, মসজিদ, মাদ্রাসা ও কবরস্থান নির্মাণে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লামা পৌরসভার মেয়র এর কাছে অসংখ্য দরখাস্ত করেছি এবং তাদের ব্যক্তিগত আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৯-২০ অর্থসালে ৩০ লাখ এবং ২০২১-২২ অর্থসালে ২০ লাখ টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদন হয়েছে। এতে করে দক্ষিণ ও মধ্যম হায়দারনাশী গ্রামের সড়ক যোগাযোগ সংযুক্ত হয় এবং কয়েক গ্রামের মানুষ অবনর্ণীয় ভোগান্তি থেকে রক্ষা পায়। আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে বর্তমানে মধ্যম হায়দারনাশী এলাকায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ ও এইচবিবি রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। যা সরেজমিনে গেলে আপনারা দেখতে পারবেন। উন্নয়ন কাজটি আমার বাড়ির সামনে হওয়ায় ও প্রতিনিয়ত নির্মাণ সামগ্রী চুরি হওয়ায় ঠিকাদার মালামাল গুলো আমার বাড়ির আঙ্গিনায় রাখে এবং ঠিকাদারের অনুপস্থিতিতে উন্নয়ন কাজ আমি ও আমার পরিবারের লোকজন তদারকি করি। যেহেতু কাজটি ঠিকাদারের মাধ্যমে বান্দরবান জেলা পরিষদ করছে, তাতে আমার অর্থ আত্মসাতের কোন সুযোগ নেই। কিছু লোক হিংসা বশত এলাকায় ছড়িয়েছে, আমি উন্নয়ন কাজের মালামাল আত্মসাৎ করেছি। যা ঠিকাদারের সাথে কথা বললে আপনারা সত্যিটা জানতে পারবেন।