গতকাল শনিবার চলছে মরহুম সাজেদা চৌধুরীর ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ। তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। শেষ বেলায় কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটার শূন্যও দেখা গেছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে এ ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে বেলা ১২টা পর্যন্ত এ পরিস্থিতি দেখা যায়। দুপুরের পর ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সালথার চান্দাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবুল খায়ের বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ১৩ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়েছে। দুপুরে পর ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। আমার এখানে উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে।’ অন্যদিকে ফুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্রে এক হাজার ৮০০ ভোটের মধ্যে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৪০০ ভোট পড়েছে।
সালথা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংশু দাস বলেন, ‘ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথমবার ইভিএমে ভোট হলেও ভোটারদের ভোট দিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কেন্দ্রের পরিবেশও বেশ ভালো। এখানে কোনো ধরণের সমস্যা নেই।’
সরেজমিনে কয়েকটি কেন্দ্রে দেখা গেছে, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়ার বটগাছ প্রতীকের কোনো এজেন্ট নেই। বেশিরভাগ কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের কোনো লাইন দেখা যায়নি। ভোটাররা এক-দু’জন করে এসে ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছে। নারী ভোটারের উপস্থিতি সব চেয়ে কম দেখা গেছে। এ নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে লড়ছে বটগাছ। নৌকা নিয়ে লড়ছেন সাবেক সংসদ উপনেতা মরহুম সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরী লাবু, আর বটগাছ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া।
জেলা নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর-২ আসনটি নাগরকান্দা, সালথা ও সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এতে ভোটার রয়েছে তিন লাখ ১৮ হাজার ৪৭২ জন। এরমধ্যে নগরকান্দা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৫, সালথা উপজেলায় এক লাখ ৩২ হাজার ৪৬০ ও সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে ২৮ হাজার ১৩৭। আজ এসব ভোটাররা মোট ১২৩ ভোটকেন্দ্রের ৮০৬টি ভোটকক্ষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন। এ নির্বাচনে ১২৩টি ভোট কেন্দ্রে ভোট কাস্টিং হবে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাবের ১০টি টিম, ছয় প্লাটুন বিজিবি, বেশকিছু স্ট্রাইকিং ফোর্স, তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সহস্রাধিক পুলিশ ছাড়াও আনসার এবং মোবাইল টিম মাঠে কাজ করছেন। এক হাজার ৫২টি সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উল্লেখ্য, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গত ১১ সেপ্টেম্বর সংসদীয় এই আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন(ইসি)।