ঢাকার ধামরাইয়ে বিবাহিত ছাত্র দলনেতা জামিল হোসেনকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এই সময় সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলামের বহিস্কার চেয়ে ঝাড়ু মিছিল করেন উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার(৫ নভেম্বর) দপুরে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ধামরাই থানা বাসষ্ট্যান্ড এই ঝাড়ু মিছিল করেন। ঝাড়ু মিছিল শেষে ধামরাই প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিক্ষোব্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে বিক্ষোব্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকা আরিচা মহাসড়কের রাস্তা অবরোধ করে ঝাড়ু মিছিল করেন। উপজেলা ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, মাদকব্যবসায়ী ছাত্র দলের নেতা জামিল হোসেনকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ দেয়া হয়। চুরি মামলার আসামী, কখনো মাঠে দেখা যায় নি এমন লোককে কমিটিতে পদ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম টাকার বিনিময়ে পদ দিয়ে থাকেন। ধামরাই সরকারি কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলাম আমার কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি তাকে ৪ লাখ টাকা দেয়। কিন্তু সে নাছুর বান্দা আমি বাকী ৬ লাখ দিতে পারিনি বলে সে আমাকে বাদ দিয়ে গোপনে জামিলকে সভাপতি করে কমিটি ঘোষনা করেন। উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রবিউল আওয়াল রুবেল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার কাছেও ৫লাখ টাকা চেয়েছিল সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম। আমরা তার চাহিদামত টাকা দিতে পারিনি বলে আমাদের কোন পদ দেয়নি। আমরা অনতিবিলম্ব এই কমিটি বাতিল এবং সাইদুলের বহিস্কার চায়। এই সময় মিছিলের অন্যনরা বলেন,যারা কোন দিন ছাত্র লীগ করেননি তাদের পদ দিয়েছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রাতের আধারে ছাত্র দলের নেতা জামিল হোসেন ও চুরি মামলার আসামীকে পদ দিয়েছেন। তারা আরও বলেন শুধু ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে যাচায় বাচায় এবং সম্মেলন ছাড়াই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ দিয়েছে। জামিল বিবাহিত, তাহলে কি করে সে ছাত্রলীগের এমন পদ পায়। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ১নং যুগ্ন আহবায়ক মোঃ রবিউল আওয়াল রুবেল, ধামরাই সরকারী কলেজ শাখার সাবেক ভিপি ও আহবায়ক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের ছাত্র বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তুষার আহম্মেদ শান্ত, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের উপ গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ সুমন চৌধুরী, কুশুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফ খান জয়সহ প্রমুখ। প্রসঙ্গত, ধামরাই উপজেলায় ২১ বছর ধরে ছাত্র লীগের কোন কমিটি নেই। ছত্র ভঙ্গ অবস্থায় টিকে রয়েছে ছাত্র লীগ। একাধিক বার নতুন কমিটির জন্য সভা সমাবেশ হলেও নতুন কোন কমিটি দেয় নি জেলা ছাত্র লীগ। আহবায়ক কমিটি দিয়ে চলে আরো ৩ বছর। কিন্তু হঠাৎ করেই ২৪ বছর পর টাকার বিনিময়ে জেলা ছাত্র লীগের পকেট কমিটি দেয়। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চলছে ব্যাপক সমালোচনার ঝড়।