কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের দুবলাবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন জরাজীর্ণ। জরাজীর্ণ ভবণটির ভয়ভীতি উপেক্ষা করে বিপদ মাথায় নিয়ে এবং পুরাতন টিনশেড ভাঙ্গা ঘরে ঠাসাঠাসি করে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। পুরাতন টিনশেডে ক্লাসের সমস্যা হলে মাঝে মধ্যে খোলা আকাশের নিচেও ক্লাস করতে হচ্ছে। দ্রুত ভবন নির্মানের দাবী করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ। জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা দুবলাবাড়ী গ্রাম এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের পক্ষে ১৯৫৭ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় এলাকার মানুষের সার্বিক সহযোগীতায় পূর্ব পশ্চিম লম্বা একটি টিনশেড ঘর নির্মান করে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম চলতে থাকে। এরপর দিনদিন এই প্রতিষ্ঠানটি লেখা পড়ার দিকদিয়ে সুনাম অর্জণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ১৯৯৬-৯৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে উত্তর দক্ষিণ লম্বা করে তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি এক তলা ভবন নির্মিত হয়। ৩০০ শত ছাত্র/ছাত্রীর স্থলে শ্রেণী কক্ষের সংকট পুরণ না হলে বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে তিনকক্ষ বিশিষ্ট আর একটি হাফ বিল্ডিং নির্মান করে একাডেমিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে ভবনের ছাদ থেকে বৃষ্টির পানি, ছাদ ধসে ক্লাস রুমের ভেতরে প্লাস্টার পড়ে এবং দেয়ালের অংশ বিশেষ ধসে পড়তে থাকে। এ বিষয় গুলি লিখিত ভাবে উপজেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা উর্দ্ধোতন কর্মকর্তাদেরকে ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করার জন্য এবং নতুন ভবন নির্মানের জন্য জানানো হয়। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে দেখে যান। এতে ৩ শতাধীক শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়র ক্লাস অনুপোযোগী হওয়ায় আমরা পড়েছি চরম বিপাকে। প্রতিষ্ঠানের সুপার আহাম্মদ উল্যাহ বলেন, উপজেলার দুবলাবাড়ী প্রত্যন্ত এলাকায় ১৯৫৭ সালে মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয়। সে থেকে চলতে থাকে আনুষ্ঠানিক একাডেমিক শিক্ষা কার্যক্রম। বর্তমানে মাদ্রাসায় ৩ শতাধীক ছাত্রছাত্রী অধ্যায়নরত রয়েছে। শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে ২০ জন। কিন্তু দির্ঘদিন যাবত মাদ্রাসার এই ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। মাদ্রাসায় বর্তমানে ব্যবহার উপযোগী ৫টি শ্রেণী কক্ষ রয়েছে। যা শিক্ষার্থী অনুপাতে খুবই কম। শ্রেণী কক্ষের অভাবে চরম সংকটাপন্ন ভাবে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। মাদ্রসার ছাত্রছাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত একটি ভবন, বাউন্ডারী ওয়ালসহ আসবাবপত্র,ল্যাব ও লেট্রিন অতিব জরুরী। বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুল মতিন, সাবেক পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মৌলানা মাসুদুর রহমান, এলাকাবাসী ও অভিভাবকগণ বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এবং দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত একটি ভবন, বাউন্ডারী ওয়ালসহ নানা সমস্যা গুলি সমাধানের দাবী জানিয়েছে বর্তমান শিক্ষা বান্ধব ও মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।