আওয়ামী লীগ আবারও ‘আগুন সন্ত্রাস’ করে বিরোধীদলের আন্দোলনকে দমানোর জন্য মাস্টারপ্ল্যান করছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সরকার নিজেদের লোক ও গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে বাসে আগুন লাগিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরে বিএনপির ওপর দোষ চাপিয়েছে। এসব ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। বর্তমানে আবার আগ বাড়িয়ে শেখ হাসিনা অগ্নিসন্ত্রাসের কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রহস্যজনক। তিনি বলেন, আবারও আগুনসন্ত্রাসের মধ্যদিয়ে বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমনের একটা মাস্টারপ্ল্যান আঁকছে আওয়ামী লীগ। তাদের একমাত্র পথই হচ্ছে সহিংসতা ও সন্ত্রাস। কারণ এছাড়া ক্ষমতায় টিকে থাকাতে তাদের কাছে অন্য কোনো অবলম্বন নেই।
বিএনপি কোনো সন্ত্রাসী দল নয়। লগি-বৈঠা, খুন-গুম, হত্যা, পঙ্গু করে দেওয়ার রেকর্ড এ দলের নেই। এটা আছে জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকা আওয়ামী লীগের। অগ্নিসন্ত্রাস শব্দটিকে আবারও নতুন করে ব্যবহারের মাধ্যমে বিএনপির ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং শেখ হাসিনার সব অপচেষ্টা ব্যর্থ করে এবার জনগণ তার পতন ঘটাতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, বিরোধীদলের আন্দোলন করার সময় আওয়ামী লীগ যে কাজটি করবে সেটাই তারা এখন বলছে। এই কাজ আওয়ামী লীগ বহুবার করেছে। এখন আবার করবে তা আগেই বলে দিচ্ছে।
ফরিদপুরের বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় নানাভাবে সেখানে বাধা দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, গভীররাতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় গিয়ে হুমকি দিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে এরই মধ্যে ফরিদপুর শহরে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে জনগণ ও নেতাকর্মী আসতে শুরু করেছে। আজ শনিবার ফরিদপুরের গণসমাবেশটি হবে ঐতিহাসিক। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া,তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।