ঠাকুরগাঁও জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ১৬ থেকে ১৮ নভেম্বর তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপ্তি হয়েছে। উৎসবের শেষ দিনে ‘২০৪১ বাংলাদেশ হবে নান্দনিক’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুক্রবার সন্ধ্যা হতে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। অন্ষ্ঠুানে জেলার প্রান্তিক শিল্পীরা সহ স্বনামধন্য শিল্পীরা পরিবেশন করেন সংগীত, নৃত্য ও কবিতা পাঠ। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর বুধবার হতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উৎসবের প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয় ‘‘নবান্ন উৎসব ১৪২৯ এবং টেনজিবল ও ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’’ শীর্ষক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে লোক সংগীত, বাউল সংগীত, লোক নৃত্য এবং হেমন্ত ও নবান্নকে উপলক্ষ্য করে রচিত খ্যাতিমান কবিদের কবিতা আবৃত্তি পরিবেশনা পরিবেশিত হয়। একাডেমির শিক্ষার্থী ও শিল্পীরা ছাড়াও সরকারি শিশু পরিবারের শিশু শিল্পীরা ও আমন্ত্রিত শিল্পীরা তাদের পরিবেশনা দর্শকদের উপহার দেন এবং তাদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় মাতিয়ে তোলে উৎসবের আবহকে। উৎসবের ২য়দিন ১৭ নভেম্বরের বিশেষ আয়োজনে ছিলো ‘‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান ও প্রবীণদের জন্য সংস্কৃতি’’ বিষয়ক অনুষ্ঠান। এতে ঠাকুরগাঁওয়ের ফ্রীড মাতৃছায়া অটিস্টিক শিশু নিকেতন এবং সুইড বাংলাদেশ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও শিল্পীরা অংশ নেয়। তাদের দারুণ সব পরিবেশনা সকল দর্শককে বিমোহিত করে। জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ জাকির হোসেন ইমন জানান, করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত সংস্কৃতিকে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নির্দেশনায় এ সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে জেলার প্রান্তিক এলাকার শিল্পীরাসহ স্বনামধন্য শিল্পীরা অংশ নেয়। জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথী দাস জানান, ‘শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও জেলা শিল্পকলা একাডেমি দুইটি পর্বে ৩দিন করে মোট ৬দিন সাংস্কৃতিক উৎসব পালন করে। এতে উজ্জীবিত হয়েছে করোনায় ঝিমিয়ে পড়া জেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গন।