মিয়ানমার একটি আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্টকারী এবং অস্থিতিশীলকারী জান্তা-রাষ্ট্র। সেনা শাসকরা দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার সহযোগিতায় পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য কাজ করছে। পরমাণু স্থাপনার স্থানটিও বাংলাদেশের কাছেই। মংডুর কালাপাহাড় এলাকায়। স্থানটি অতিদুর্গম, বড় বড় পর্বতবেষ্টিত ও যোগাযোগের সুবিধাবিহীন। মনুষ্যবিহীন এই দুর্গম এলাকায় সেনা কমান্ডো ও পরমাণু কর্তারা মূলত হেলিকপ্টারে যাতায়াত করেন। নাসার স্যাটেলাইট চিত্রে ওখানে পরমাণু প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য অবকাঠামো নির্মাণের কথা বিশ্ব জানতে পারে। তাও আবার দশক আগের ঘটনা! মানবাধিকার বিঘœকারী একটি দেশের এই অভিলাষ সম্পর্কে কেউ নীরব থাকতে পারে না তদুপরি এর অনেক খারাপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেমন, মিয়ানমারের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্ক সন্তোষজনক নয়, এরা রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কটের হোতা, সীমান্ত-চোরাচালান অনেকের বড় পেশা যার সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত। সেনাশাসন মজবুত করার জন্য এরা নিজেদের জনগণের ওপর বোমা হামলা চালায়, কাচিন প্রদেশে দুটি সেনা যুদ্ধবিমান চারটি বোমা ফেলে ৭০ জনকে হত্যা করে, এটি সর্বশেষ উদাহরণ। এই অঞ্চলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্রমাগত ঔদ্ধত্য, আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতিকে অমান্য করার মতো আঞ্চলিক বিরোধে পড়শিরা অস্বস্তিতে রয়েছে। থাইল্যান্ড ও জাপান সব ধরনের প্রকল্প বাতিল করে দিয়েছে। সামরিক একনায়কতন্ত্র আদৌ শেষ হবে কিনা গণতান্ত্রিক সরকার আসবে কিনা কেউ জানে না।
এই অঞ্চলে কাছাকাছি কয়টি দেশ ভারত, চীন ও পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর। মিয়ানমারও কি এই ক্লাবে যোগ দিচ্ছে? মিয়ানমার কার বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে? উত্তরটি কি খুব সহজ নয়? বিশ্ববাসী হইচই করলেও উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র সক্ষমতা রোধ করতে পারেনি। ইরান যেকোনো সময় পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারে। তুরস্ক পরমাণু বোমা বানালে কে বাধা দেবে? শুধু ইরাকে সাদ্দাম হোসেন পরমাণু বোমা বানানোর প্ল্যান্ট তৈরি করলে ইসরাইল সেখানে বোমা ফেলে তছনছ করে দেয়। ইসরাইল আক্রমণ করার আগে সেখানে কর্মরত ফরাসি প্রকৌশলীরা নিরাপদ দূরত্বে চলে যায়। তাদের সরে যেতে ইসরাইল বার্তা পাঠায়। আসলে সাদ্দাম মোনাফেকদের হাতে তার প্রকল্প ও অর্থ তুলে দিয়েছিল। সে যাই হোক, নিজে শক্তিশালী না হলে তৃতীয় কোনো শক্তি বিপদের সময় সহায়তা করতে আসে না এটাই অমোঘ সত্য। মিয়ানমার যদি পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করে, তাহলে তা হবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য বড় বিপর্যয়। আঞ্চলিক সব দেশ সরাসরি মিয়ানমারের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। পারমাণবিক শক্তিধর মিয়ানমার শুধু আঞ্চলিক দেশগুলোর জন্যই হুমকি হবে না, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া স্থায়ীভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। অবশ্যই, বার্মার সামরিক জান্তা বিভিন্ন জাতিগত প্রতিদ্বন্দ্বী এবং বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করবে। মিয়ানমারের আগ্রাসী মনোভাব বোঝার জন্য মিয়ানমার-বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনা উপলব্ধি করার জন্য সর্বোত্তম উদাহরণ। দেশটির হাতে পারমাণবিক অস্ত্র উত্তর কোরিয়ার চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। দুর্ভাগ্যবশত মিয়ানমার ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী বাংলাদেশের সাথে সৎ প্রতিবেশীর মতো আচরণ করে না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে অভিযান চালিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের হত্যা করে, নারীদের ধর্ষণ করে এবং বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা এই নিষ্ঠুরতা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে চলে এসেছে। বর্তমানে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে। মিয়ানমার ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে আসছে। এ ক্ষেত্রে দেশটি আন্তর্জাতিক আইনেরও ‘থোড়াই’ কেয়ার করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের জন্য মিয়ানমারের সামরিক সরকার এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পরমাণু শক্তি করপোরেশনের যৌথ মূল্যায়নের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত ৫-৮ সেপ্টেম্বর ব্লাদিভোস্তকে ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেয়ার সময় মাইও থিন ক্য সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী; থুয়াং হান, বিদ্যুৎমন্ত্রী এবং রাশিয়ার স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলেক্সি লিখাচেভ ‘নাগরিক সহযোগিতার রোডম্যাপ’ স্বাক্ষর করেন। জান্তা নেতা মিন অং হ্লাইং চুক্তি স্বাক্ষর তত্ত্বাবধান করেন। রোসাটম ৬ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে এই তথ্য প্রকাশ করে। জান্তা সরকার ঘোষণা করেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, ঔষধ উৎপাদন এবং শিল্পের জন্য পারমাণবিক শক্তির প্রয়োজন রয়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো, এ ব্যাপারে বিশ্ব নীরব কেন? ডেমোক্র্যাটিক ভয়েস অব বার্মার এক প্রামাণ্যচিত্রে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা সাই থেইন উইনের দেয়া তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। উইন দাবি করেছেন, তিনি মিয়ানমারের গোপন পারমাণবিক অস্ত্র প্রচেষ্টা এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির সাথে জড়িত বিশেষ মেশিন টুল কারখানার ডেপুটি ম্যানেজার ছিলেন। গত ৩ জুন, ২০২২ আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সাবেক পরিদর্শক রবার্ট কেলির কাছ থেকে উইনের তথ্য বিশ্লেষণ করে বিরোধী দল একই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কেলি দাবি করেছেন, উইনের তথ্যে উল্লিখিত প্রযুক্তিটি ‘কেবল পারমাণবিক অস্ত্রের জন্যই ব্যবহার করছে।’ রাশিয়া পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণে মিয়ানমারকে সহায়তা করেছে এ তথ্য কমপক্ষে ৯ বছর আগের। জান্তা সরকারের সাম্প্রতিক কর্মকা- হিসাব করে নিশ্চিত করা হয়েছে যে আগামী বছরের মধ্যে ছোট আকারের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হবে। এই কেন্দ্রে ২০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম-২৩৫, একটি অ্যাক্টিভেশন বিশ্লেষণ ল্যাবরেটরি, একটি মেডিক্যাল আইসোটোপ উৎপাদন ল্যাবরেটরি, সিলিকন ডোপিং সিস্টেম, পারমাণবিক বর্জ্য পরিশোধন এবং একটি ১০ মেগাওয়াট হালকা জলের চুল্লি থাকবে। বর্তমান জান্তা সরকার জোর দিয়ে বলেছে, পারমাণবিক শক্তি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে। তবে অনেকে বিশ্বাস করেন, দেশটি পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনসহ সামরিক উদ্দেশ্যে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করবে।
২০০৯ সালের এক রিপোর্ট অনুসারে বার্মা পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি শুরু করেছে বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১১ সালে এনপিটি লঙ্ঘনের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে। ঐ সময় বার্মাকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্যও অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের ২০০৯ সালের আগস্টের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বার্মা উত্তর কোরিয়ার সহায়তায় ২০১৪ সাল পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য কাজ করছিল। দেশটি মান্দালয় বিভাগের এক গ্রাম নাউং লাইং-এর গহিন পর্বতের সুড়ঙ্গে সুড়ঙ্গে পারমাণবিক চুল্লি, প্লুটোনিয়াম নিষ্কাশন সুবিধা নির্মাণ করেছে। উত্তর কোরিয়াতেও পার্বত্য এলাকায় অনুরূপ পরমাণু স্থাপনা রয়েছে। যেগুলো বাইর থেকে বোমাবর্ষণ করে ধ্বংস করা দুষ্কর। সংবাদপত্রটি তথ্যপ্রাপ্তির সোর্সও উল্লেখ করেছিল।
২০১০ সালের ৩ জুন মিয়ানমারের সরকারবিরোধী প্রচারমাধ্যম ডেমোক্রেটিক ভয়েস অব বার্মার বহু বছরের তদন্তেও এমন প্রমাণ পাওয়া যায়। বাইরে পাচার হওয়া শত শত গোপন নথি থেকে এবং মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাবেক মেজর সাই থেইন উইনের দেয়া অন্যান্য প্রমাণও এমন সাক্ষ্য দেয়। জাতিসঙ্ঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া যে বার্মা, ইরান ও সিরিয়ায় পারমাণবিক প্রযুক্তি রফতানি করছে, তার প্রমাণ তাদের হাতে আছে।
অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, গোপনে কাজ করতে গিয়ে বার্মা আন্তর্জাতিক দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে অনুপযোগী যন্ত্রপাতির চালান পায়। সরঞ্জামগুলো আদৌ ইউরেনিয়াম উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয় কিনা এবং পরিশুদ্ধ টাইটানিয়াম বা ভ্যানেডিয়ামের মতো বিরল ধাতু উৎপাদন করতে সক্ষম কিনা তাও যাচাই করা সম্ভব হয়নি। মিয়ানমার ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও তা অনুমোদন করেনি। মেজর সাই থেইন উইন নরওয়েভিত্তিক ব্রডকাস্টার ডেমোক্র্যাটিক ভয়েস অব বার্মাকে ইউরেনিয়াম পরীক্ষা-নিরীক্ষার বর্ণনা দিয়ে ফাইল এবং ফটোগ্রাফ সরবরাহ করেছিলেন। ‘বার্মার পারমাণবিক উচ্চাকাক্সক্ষা’ শিরোনামের এই ডকুমেন্টারিতে, মেজর সাই এমন একটি নথি এবং ছবি দেখিয়েছেন যেখানে কারখানার ছবি ও পারমাণবিক উপাদান তৈরির প্রোটোটাইপ তৈরি করা হচ্ছিল। মেজর সাই নিজে একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার যিনি যন্ত্রাংশ নিয়ে কাজ করতেন এবং বার্মিজ নিউক্লিয়ার ব্যাটালিয়ন পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি এমন যন্ত্রের ছবি সরবরাহ করেছিলেন যা পারমাণবিক জ্বালানি বা পারমাণবিক অস্ত্রে ব্যবহারের জন্য ইউরেনিয়াম যৌগ রূপান্তর করতে ব্যবহৃত হয়।
যাই হোক, বার্মা পরমাণু বোমা তৈরি করে ফেললে তখন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কী লাভ। উত্তর কোরিয়া বা ইরানকে কি নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে? ১৯৯৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল চুক্তিতে স্বাক্ষর করে চুক্তিটি ব্যাংকক চুক্তি নামেও পরিচিত। এই চুক্তির মাধ্যমে আসিয়ান পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ করতে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তায় অবদান রাখতে পারমাণবিক অস্ত্রের অ-প্রসারণ চুক্তির (এনপিটি) গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একটি পারমাণবিক-অস্ত্র-মুক্ত অঞ্চল (এনডব্লিউএফজেড) প্রতিষ্ঠাকে চিহ্নিত করে- বিশ্বের পাঁচটি এনডব্লিউএফজেডের মধ্যে একটি। বাকি চারটি এনডব্লিউএফজেড ল্যাটিন আমেরিকা এবং ক্যারিবীয়, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয়, আফ্রিকা এবং মধ্য এশিয়ায় রয়েছে। মিয়ানমারের পরমাণু বিকার পারমাণবিক-অস্ত্র-মুক্ত অঞ্চল প্রটোকলের সাথে সাংঘর্ষিক।
মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আসিয়ানের সময় সীমা বেঁধে দেয়ার প্রচেষ্টাকে উল্টো সতর্ক করেছে মিয়ানমার জান্তা। কম্বোডিয়ার সভাপতিত্বে ২৭ অক্টোবর ’২২ অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এমন আহ্বান জানালে জান্তা হুঁশিয়ারি দেয়। এমনকি অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পাঠানোর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে জান্তা সরকার। মিয়ানমারের উপস্থিতি ছাড়াই এই বৈঠক শেষ হয়। গত বছরও এমন একটি শান্তি প্রচেষ্টা মিয়ানমার প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং মিয়ানমারের সাথে বৈষম্যপূর্ণ আচরণ করা হচ্ছে বলে জান্তা সরকার অভিযোগ তুলেছিল। জান্তা আসিয়ানকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পোষ্য কুকুর’ বলে সম্বোধন করে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সু চিকে ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে গ্রেফতার করায় দেশে বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু হলে হাজার হাজার মানবাধিকারকর্মীকে জান্তা জেলে পুরেছে। ভিন্নমতের ২৯০০ জন নিহত হয়েছে। এই নাজুক অবস্থা পরিবর্তনে আসিয়ানও ব্যর্থ হয়েছে। পশ্চিমাদের উচিত সব আঞ্চলিক দেশ ও আসিয়ানের সাথে যোগ দিয়ে মিয়ানমারকে তার পারমাণবিক-অস্ত্রের উচ্চাকাক্সক্ষা ত্যাগ করার জন্য চাপ দেয়া। অন্যথায়, বিশ্ব দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক হুমকির স্পটে পরিণত হবে। মিয়ানমারের সব প্রতিবেশী দেশগুলোকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার