প্রতারনার মাধ্যমে অশ্লিল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে চাঁদাবাজির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮ বরিশালের সদস্যরা। গতকাল শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল নগরের রুপাতলীস্থ র্যাব-৮ এর সদর দফতরের এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট মো. শহিদুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, পটুয়াখালীর বাউফল থানাধীন মাছপাড়া এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলাম (৬৩) সরকারি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহন করেন এবং পেনশনের টাকা ব্যাংকে জমা রাখেন। তিনি গত ১৪ ডিসেম্বর পটুয়াখীল জেলার বাউফল উপজেলার বিপাশা এলাকার মোঃ সাকিব হোসেন ওরফে শুভ (২২),মোঃ নাহিদ হোসেন (২০) ও মিলা আক্তার (২৩) এর বিরুদ্ধে পটুয়াখালী ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানিতে একটি অভিযোগ করেন। যে অভিযোগ তিনি উল্লেখ করেন, পেনশনে আসার পর হতে অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় তার নিকট বিভিন্ন অযুহাতে টাকা পয়সা দাবি করে আসছিল। অভিযুক্তগণদেরকে টাকা পয়সা না দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে জিম্মি করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করে। যার ধারাবাহিকতায় গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে বাড়িতে ফেরার পথে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে খুন ও জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে জিম্মি করত জোর পূর্বক একটি বাগানে নিয়ে যায় রফিকুল ইসলামকে। পরবর্তীতে তাকে জোর পূর্বক অশ্লীল ভঙ্গিতে মোবাইল ফোনে ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে। পাশাপাশি ১ শত টাকার তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্রাম্পে সাক্ষর গ্রহন করে রফিকুল ইসলামের নিকট ১০ লাখ টাকা দাবি করে ১০ অক্টোবরে দিতে বলে। আর সেই টাকা না দিলে তার ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিবে বলে ভয় ভীতি দেখায়। পরবর্তীতে রফিকুল ইসলাম টাকা দিতে অস্বীকার করায় অভিযুক্তরা তার ছেলে মোঃ রাব্বি (২৫)কে হত্যা করার হুমকি দেয় এবং পূর্ভ ধারণকৃত অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি ধামকিও দেয়।এর প্রেক্ষিতে ১০ অক্টোবর বাউফলের একটি ব্যাংকে বসে অভিযুক্ত শুভকে ৫ লাখ টাকা এবং অভিযুক্ত নাহিদকে ৩ লাখ টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে অভিযুক্তদের ভয়ে মোঃ রফিকুল ইসলাম বসতবাড়ি ছেলে মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে শশুরের বাসা পটুয়াখালী সদরে অবস্থান করতে থাকেন। পরবর্তীতে মোঃ রফিকুল ইসলাম (৬৩) র?্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করলে উক্ত বিষয়টি নিয়ে র?্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে। যার ধারাবাহিকতায় প্রথমে অভিযোগপত্রের ২ নম্বর অভিযুক্ত মোঃ নাহিদ হোসেন এবং ৩ নম্বর অভিযুক্ত মোসাঃ মিলা আক্তারকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ০১ন অভিযুক্ত মোঃ সাকিব হোসেন ওরফে শুভকে র?্যাব-১০ কর্তৃক ঢাকা গেলো রাতে আটক করা হয়।