মানবিক-মানসিক সামাজিক অধিকারের স্বীকৃতি, সাম্য এবং সামাজিক রীতিনীতি সম্পর্কে প্রায় সব ধর্মের শিক্ষায় এ সত্য প্রতিফলিত হয় যে, কোনো মানুষ অন্য মানুষকে যেন নীচ ও ঘৃণ্য মনে না করে বরং নিজের বংশগত মর্যাদা, পরিবার, অথবা ধনসম্পদ ইত্যাদির ভিত্তিতে গর্ব না করে। কেননা, এগুলো প্রকৃত গর্বের বিষয় নয়। এহেন গর্বের কারণে পারস্পরিক ঘৃণা ও বিদ্বেষের ভিত্তি স্থাপিত হয়। ধর্মের শিক্ষা হলো সব মানুষ একই পিতা-মাতার সন্তান হওয়ার দিক দিয়ে ভাই ভাই এবং পরিবার, গোত্র অথবা ধনদৌলতের দিক দিয়ে যে প্রভেদ সৃষ্টিকর্তা রেখেছেন, তা গর্বের জন্য নয়, পারস্পরিক পরিচয়ের জন্য। আল কুরআনে ব্যক্তিবর্গের পারস্পরিক হক, আদব ও সামাজিক রীতিনীতি নির্দেশ করা হয়েছে, ‘তাদের অধিকাংশ অনুমানেরই অনুসরণ করে, সত্যের পরিবর্তে অনুমান কোনো কাজে আসে না। তারা যা করে আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত’। (সূরা ইউনুস, আয়াত ৩৬) ‘তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পর মন্দ নামে ডাকা গর্হিত কাজ। হে মুমিনগণ! তোমরা বহুবিধ অনুমান করা থেকে দূরে থাক, কারণ অনুমান কোনো ক্ষেত্রে পাপ এবং তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং অপরের পশ্চাতে নিন্দা করে না’। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১১-১২) আয়াতগুলোতে ১. অনুমান করা ২. কারো গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করা ৩. কাউকে ঠাট্টা ও উপহাস করা ৪. কাউকে দোষারোপ করা এবং ৫. কারো পশ্চাতে নিন্দা করা বা গিবতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনুমান বা ধারণা করা থেকে বিরত থাকার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে কতক ধারণা পাপ। প্রত্যেক ধারণাই পাপ নয়। অতএব কোন ধারণা পাপ তা জানা জরুরি সাব্যস্ত করতেই সাবধানতা অবলম্বনের এ নির্দেশ। কুরতবি তার তাফসিরে লিখেছেন, নিষিদ্ধ ধারণা বলতে এ ক্ষেত্রে যেমন অপবাদ বোঝানো হয়েছে। কোনো ব্যক্তির প্রতি শক্তিশালী প্রমাণ ব্যতিরেকে কোনো দোষ আরোপ করা।
কারো গোপনীয় বিষয় বা দোষ অনুসন্ধান প্রসঙ্গে ভাষ্য এই যে, যে দোষ প্রকাশ্য তা ধরা যায়, কিন্তু যে দোষ প্রকাশ্য নয়, তা সন্ধান করা উচিত কর্ম নয়। হাদিস শরিফে আছে রাসূল সা: বলেছেন, ‘মুসলমানদের গিবত করো না এবং তাদের দোষ অনুসন্ধান করো না। কেননা, যে ব্যক্তি মুসলমানদের দোষ অনুসন্ধান করে, আল্লাহ তার দোষ অনুসন্ধান করেন, তাকে স্বগৃহেও লাঞ্ছিত করে দেন।’ কাউকে ঠাট্টা বা উপহাসের বিষয়ে বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তির দেহে, আকার আকৃতিতে কিংবা কর্মকা-ে কোন দোষ দৃষ্টিগোচর হলে তা নিয়েও কারো হাসাহাসি বা উপহাস করা উচিত নয়। কেননা এটা হয়তো জানা নেই যে এই ব্যক্তি সততা, আন্তরিকতা ইত্যাদির কারণে আল্লাহর কাছে উপহাসকারীর চেয়ে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ। এ প্রসঙ্গে রাসূল সা:-এর একটি হাদিস বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ‘আল্লাহ্ মুসলমানদের আকার আকৃতি ও ধন-দৌলতের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না, বরং তাদের অন্তর ও কাজকর্ম দেখেন।’ কারো দোষ বের করা, দোষ প্রকাশ করা এবং দোষের কারণে তিরস্কার করাকে আত্মঘাতী প্রবণতার সাথে তুলনা করা হয়েছে। ‘একে অপরের প্রতি দোষারোপ’ কে ‘একে অন্যকে হত্যা করা’র সাথে সমার্থক আকারে প্রকাশ করার রহস্য এ কথা বলা যে, অপরকে হত্যা করা যেমন নিজেকে হত্যা করার শামিল, তেমনি কেউ অন্যের দোষ বের করলে সেও তার দোষ বের করবে। পারস্পরিক দোষারোপের ফলে শত্রুতা বৃদ্ধি পায়, অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয় সৃষ্টি হয়। সুস্থ ও সম্মানজনক সামাজিক পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টির ক্ষেত্রে তা হয়ে ওঠে এক দুঃখজনক প্রতিবন্ধকতা। যেকোনো সমাজ সংসার অর্থনীতিতে অপচয় অপব্যয় ব্যষ্টি ও সমষ্টির সামগ্রিক অবয়বে অনির্বচনীয় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে এ কথা সর্বজনবিদিত যে, সময় সম্পদ ও সুযোগের সুষম ব্যবহারের সাফল্য সুনিশ্চিত হয়। আল কুরআনে অপচয় অপব্যয় ও অমিতাচার থেকে দূরে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এরশাদ হয়েছে, ‘এবং যারা মানুষকে দেখাবার জন্য তাদের ধনসম্পদ ব্যয় করে এবং আল্লাহও আখিরাতে বিশ্বাস করে না আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন না, আর শয়তান কারো সঙ্গী হলে সে সঙ্গী কত মন্দ।’ (সূরা নিসা, আয়াত ৩৮) ‘অপচয় করবে না, কারণ আল্লাহ্ অপচয়কারীদেরকে পছন্দ করেন না।’ (সূরা আল আনআম, আয়াত ১৪১) ‘হে বনি আদম! প্রত্যেক সালাতের সময় সুন্দর পোশাক পরিচ্ছদ পরিধান করবে। আহার করবে ও পান করবে। কিন্তু অমিতাচার করবে না। তিনি অমিতাচারীকে পছন্দ করনে না।’ (সূরা আরাফ, আয়াত ৩১) ‘আত্মীয় স্বজনকে দেবে তার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও পর্যটককেও এবং কিছুতেই অপব্যয় করো না। যারা অপব্যয় করে তারা শয়তানের ভাই এবং শয়তান তার প্রতিপালকের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।’ (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৬-২৭) ‘এবং যখন তারা ব্যয় করে তখন তারা অপব্যয় করে না, কার্পণ্যও করে না, বরং তারা আছে এতদুভয়ের মাঝে মধ্যম পন্থায়।’ (সূরা ফুরকান, আয়াত ৬৭) অপব্যয়ের ফলে স্বভাবত অন্যান্য ক্ষেত্রের ন্যায্য দায় পরিশোধে বিঘœ সৃষ্টি হয়ে থাকে বলেই ব্যয় ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুষম অবস্থা অবলম্বনের তাগিদ দেয়া হয়েছে। সম্পদ সসীম, চাহিদা অসীম। সসীম সম্পদের সুষম ব্যবহারের দ্বারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাহিদা মেটানো যেখানে জরুরি সেখানে অপব্যয়ের অবকাশ নেই। ব্যষ্টির অর্থনীতির ক্ষেত্রেও একই কথা। অপব্যয় অপচয়ে জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হয়, বৈষম্য প্রকাশ্য হয়ে ওঠে ভোগ ও বণ্টন প্রক্রিয়ায়। পানাহারের ক্ষেত্রেও মধ্যপন্থা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ক্ষুধা ও প্রয়োজনের চেয়ে অধিক খাদ্য গ্রহণ অনুচিত। ফেকাহবিদগণ উদরপূর্তি ও অস্বাভাবিক ভক্ষণ করাকে না জায়েজ লিখেছেন। হজরত উমর রা: বলেন, ‘বেশি পানাহার থেকে বেঁচে থাক। কারণ অধিক পানাহার দেহকে নষ্ট করে, নানান রোগের জন্ম দেয় এবং কর্মে অলসতা সৃষ্টি করে। পানাহারের ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো। এটা দৈহিক সুস্থতার পক্ষে উপকারী এবং অপব্যয় থেকে দূরবর্তী।’ কুরআনে তাদের শয়তানের দোসর সাব্যস্ত করা হয়েছে, যারা আল্লাহর পথে নিজেরাও ব্যয় করে না এবং অন্যকেও ব্যয় না করার অনুপ্রেরণা জোগায়, অথচ তারা অপচয় করে লোকদেখানোর উদ্দেশ্যে। অন্যের অধিকার, প্রাপ্য প্রদানের ক্ষেত্রে শৈথিল্য ও কার্পণ্য প্রদর্শন করা যেমন দোষণীয় তেমনিভাবে লোকদেখানোর জন্য ও উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ব্যয় করাও নিতান্ত মন্দ কা-। যারা একান্তভাবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ব্যয় না করে লোকদেখানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে তাদের আমল আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। হাদিসে এমন কাজকে শিরকি বলেও অভিহিত করা হয়েছে। মুসনাদে আহমাদে সঙ্কলিত এবং সাদ্দাম ইবনে আওস বর্ণিত হাদিসে আছে, ‘আমি রাসূল সা: কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি লোকদেখানোর উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ল সে র্শিক করল। যে লোকদেখানোর উদ্দেশ্যে রোজা রাখল সে র্শিক করল এবং যে লোকদেখানোর উদ্দেশ্যে সাদাকা খয়রাত করল সে র্শিক করল।’ (মুসনাদে আহমদ) ব্যবসা-বাণিজ্য-বিনিয়োগ প্রসঙ্গে ইসলামের বিধান অত্যন্ত স্পষ্ট। ইসলাম নির্ভেজাল এবং পারস্পরিক কল্যাণ ও সমঝোতার ভিত্তিতে পরিচালিত ব্যবসা-বাণিজ্যকে গুরুত্বসহকারে শুধু অনুমোদনই করে না, বরং সে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনাকে কল্যাণকর আখ্যা দিয়েছে। এতদসংক্রান্ত আল কুরআনের ভাষ্য এই- ‘আল্লাহ বেচাকেনা বৈধ ও সুদ অবৈধ করেছেন।’ (সূরা বাকারা, আয়াত ২৭৫) ‘নগদ আদান প্রদান ব্যতীত যেকোনো লেনদেন তা ছোট হোক আর বড় হোক মেয়াদসহ লিখতে কোনো বিরক্ত না হওয়া।’ (সূরা বাকারা, আয়াতাংশ ২৮২) ‘পরস্পর রাজি হয়ে ব্যবসায় করা বৈধ।’ (সূরা নিসা, আয়াত ২৯) ‘সেসব লোক, যাদেরকে ব্যবসায়-বাণিজ্য এবং ক্রয়বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে এবং সালাত কায়েম ও জাকাত প্রদান করা থেকে বিরত রাখে না, তারা ভয় করে সেদিনকে যেদিন তাদের অন্তর ও দৃষ্টি বিপর্যন্ত হয়ে পড়বে।’ (সূরা নূর, আয়াত ৩৭) ‘সালাত সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে ও আল্লাহকে বেশি স্মরণ করবে যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা জুমু’আ, আয়াত ১০) ‘আল্লাহ হিসাব গ্রহণে তৎপর।’ (সূরা আন নূর, আয়াত ৩৯; সূরা আনআম, আয়াত ৬২; সূরা নিসা, আয়াত ৬; সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৯৯) হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা: বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘সর্বাপেক্ষা পবিত্র রোজগার হচ্ছে ব্যবসায়ীদের রোজগার। তবে শর্ত হচ্ছে, তারা যখন কথা বলবে তখন মিথ্যা বলবে না। আমানতের খেয়ানত করবে না। পণ্য ক্রয় করার সময় সেটাকে মন্দ সাব্যস্ত করে মূল্য কম দেয়ার চেষ্টা করবে না। নিজের মাল বিক্রয় করার সময় সে মালের অযথা তারিফ করে ক্রেতাকে বিভ্রান্ত করবে না। তার নিজের নিকট অন্যের ধার থাকলে পাওনাদারকে অযথা ঘোরাবে না। অপর পক্ষে সে কারো কাছে কিছু পাওনা হলে তাকে উত্ত্যক্ত করবে না।’ অন্য এক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যারা আল্লাহকে ভয় করে, সৎভাবে লেনদেন করে এবং সত্য বলে-সেসব লোক ছাড়া কেয়ামতের দিন ব্যবসায়ীরা গোনাহগারদের কাতারে উত্থিত হবে।’ বস্তুত যেসব ক্ষেত্রে ব্যবসার নামে সুদ, জুয়া, ধোঁকা-প্রতারণা ইত্যাদির আশ্রয় নিয়ে অন্যের সম্পদ হস্তগত করা হয়, সেসব পন্থায় সম্পদ অর্জন করা বৈধ ব্যবসার অন্তর্ভুক্ত নয়, বরং হারাম ও বাতিল পন্থা। তেমনি যদি স্বাভাবিক ব্যবসায়ের ক্ষেত্রেও লেনদেনের মধ্যে উভয় পক্ষের আন্তরিক সন্তুষ্টি না থাকে, তবে সেরূপ ক্রয় বিক্রয়ও বাতিল ও হারাম। সর্বজনীন দৃষ্টিতে ব্যবসায়-বাণিজ্য ও পারস্পরিক লেনদেনে স্বচ্ছতা, বৈধতা ও সুষ্ঠুতা যেসব মৌলিক নীতিমালার ওপর নির্ভরশীল তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ্য-
১. পারস্পরিক সাহায্য সহযোগিতার মনোভাব। মুনাফার ক্ষেত্রে একজনের বেশি মুনাফা আর অপরজনের বেশি লোকসান এর মনোভাব অবশ্যই পরিত্যাজ্য। ২. পারস্পরিক স্বতঃস্ফূর্ত সম্মতি। জোরপূর্বক সম্মতি আদায় বৈধ বলে গণ্য হবে না। ৩. লেনদেনে উভয় পক্ষকে বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন, প্রাপ্ত বয়স্ক ও স্বাধীন হতে হবে। অবুঝ, অপ্রাপ্ত বয়স্ক, পাগল হলে ব্যবসার চুক্তি সম্পাদন বৈধ সাব্যস্ত হবে না। ৪. কোনো প্রকার প্রতারণা, আত্মসাৎ, ক্ষতি ও পাপাচারের উদ্দেশ্য থাকতে পারবে না। যেসব বস্তুর কারবার হারাম, সে সবের ব্যবসা করা যাবে না।
নামাজ শেষ হলে ‘আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে’ বেরিয়ে পড়ার নির্দেশনার মধ্যে ব্যবহারিক জীবনের বাস্তব প্রয়োজনীয়তার প্রতি মনোযোগ দেয়াকে কর্তব্য সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইসলামে বৈরাগ্য সাধনার স্বীকৃতি নেই। জীবনের জন্য ব্যবহারিক সংসারযাত্রার দাবি পূরণ অপরিহার্য বিবেচনা করা হয়। ইবাদত বন্দেগি উপাসনার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনের দাবির প্রতিও দায়িত্বশীল হওয়ার আবশ্যকতা রয়েছে। যে ব্যবসায়-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের দ্বারা কল্যাণকর পণ্য বা সামগ্রী উৎপন্ন তথা বিপনন হয়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়, দেশজ সম্পদ উৎপাদনে গঠনমূলক অবদান রাখতে সক্ষম হয় সে ব্যবসায়-বাণিজ্যকে কল্যাণকর অভিধায় আখ্যায়িত করা চলে। এ জাতীয় বাণিজ্য-বিনিয়োগ-ব্যবসার দ্বারা মানুষের উপকারের সুফল যতদিন কায়েম থাকবে ততদিন বিশেষ সওয়াব হাসিল হতে থাকবে ঐ বিনিয়োগকারীর। লেখক : সমকালীন আর্থসামাজিক পরিবেশ পরিস্থিতির বিশ্লেষক