মালয়েশিয়ায় গতকাল ২৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে বছরব্যাপী বৈধকরণ প্রক্রিয়া। ১৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে এই কর্মসূচির অংশ হতে পারবেন অবৈধ হয়ে পড়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যা চলবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এমনকি চাইলেও তারা অল্প খরচে দেশে ফিরতে পারবেন। এদিকে, বুধবার (২৫ জানুয়ারি) মালয়েশিয়ায় কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।
বৈঠকে রিক্যালিব্রেশনের আওতায় বাংলাদেশিদের সহজ শর্তে বৈধতা দেওয়ার অনুরোধ জানান হাইকমিশনার। জানা গেছে, উৎপাদন-কৃষি-নির্মাণ ও সেবাসহ মোট আটটি খাতের বিদেশি কর্মীদের বৈধতা দেওয়া হবে। তবে বাংলাদেশিরা প্রধান পাঁচ খাতে বৈধতা পাবেন। বছরব্যাপী এই কর্মসূচির শুরু হচ্ছে শুক্রবার ২৭ জানুয়ারি থেকে। আবেদনের প্রথম ধাপে আঙুলের ছাপ দেওয়ার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে, পরে ১৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে এই কর্মসূচির অংশ হতে পারবেন অবৈধ কর্মীরা।
মালয়েশিয়ায় কর্মরত বহু বিদেশি কর্মী ষষ্ঠ ও সপ্তম নম্বর ভিসা নবায়ন করতে পারছেন না। এতে কয়েক লাখ বাংলাদেশির অনিয়মিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিলো। তবে সরকারের এ সিদ্ধান্তে ফের নিয়মিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা। এ বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল। তার এই আগ্রহকে স্বাগত জানান হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।
এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন তারা। এ সময় দ্রুত সময়ে এবং স্বল্প ব্যয়ে আরও অধিকসংখ্যক বাংলাদেশি জনশক্তি নিয়োগের বিষয়ও তুলে ধরা হয়।
মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী সরবরাহকারী প্রধান দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশটির থ্রি -ডি (ডার্টি, ডিফিকাল্ট ও ডেঞ্জারাস) খাতের বিভিন্ন কাজের চাহিদা পূরণ করতে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্যদিকে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সফরে যাবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর তার প্রথম বিদেশ সফর বিধায় সফরটি দুই দেশের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন শ্রম মিনিস্টার মো. নাজমুছ সাদাত সেলিম, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমডোর মো. হাসান তারিক ম-ল ও কাউন্সিলর রাজনৈতিক ফারহানা আহমেদ চৌধুরী। এছাড়া মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি খায়রুল জাইমি দাউদসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।