জেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে আমন ধানের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে টর্গেটের বিপরীতে আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭৮ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার থেকে ৯৮ হেক্টর জমি বেশি। নির্ধারিত জমি থেকে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৪০১ মে: টন চাল উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। আর হেক্টর প্রতি চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ পয়েন্ট ৬৯ মে: টন। শেষ পর্যন্ত আবোহাওয়া অনুক’লে থাকলে জেলায় আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো: হুমায়ুন কবির বাসস’কে জানান, মোট আমন আবাদের মধ্যে উফশীর আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৮ হেক্টর ও স্থানীয় ১৬ হাজার ১২০ হেক্টর। আগষ্টের মাঝামাঝি থেকে আবাদ শুরু হয়ে চলতি মাসের ১৩ তারিখ পর্যন্ত চলে। এছাড়া ১০ হাজার ৯১৯ হেক্টর উফশীর বীজতলা ও ২৫’শ ২১ হেক্টর স্থানীয় বীজতলাসহ মোট ১৩ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমির বীজতলা থেকে নির্ধারিত জমির আমন আবাদ হয়েছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, জেলার মোট আমন আবাদের সদর উপজেলায় হয়েছে ২৩ হাজার ৯৫০ হেক্টর, দৌলতখানে ১৬ হাজার ৪১০, বোরহানউদ্দিনে ১৮ হাজার ৪১৩, লালমোহনে ২৩ হাজার ৫০০, তজুমোদ্দিনে ১১ হাজার ৫৮০, চরফ্যাসনে ৭৩ হাজার ২৭৫ ও মনপুরায় ১২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হরলাল মধু বলেন, এবছর আমনের প্রায় সাড়ে ৩’শ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আলোকফাঁদ ব্যবহার হচ্ছে ১৯৭টি। এছাড়া ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৯ হেক্টর জমিতে পার্চিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকরে সহায়তার জন্য পাশে রয়েছেন। আমনের জাতভেদে আগামী নভেম্বর’র মাঝামাঝি অথবা শেষের দিকে কৃষকরা ফসল ঘরে তুলবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা সদরের শীবপুর ইউনিয়নের শান্তির হাট এলাকার কৃষক জুবায়ের, নিজাম, মনির ও কালাম বলেন, প্রতিবছরই তারা আমনের চাষ করেন। এবারো তারা প্রত্যেকে ২ একর করে জমিতে আমন ধান রোপণ করেছেন। কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের পরামর্শ সেবা পাচ্ছেন। বর্তমানে ক্ষেতের চারার পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আশা করছেন উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হবেন তারা।