সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলাতে আবাদযোগ্য উর্বর জমি কেটে পুকুর খনন অন্যতম সামাজিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এ কারণে আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে কৃষি জমি ও কৃষি চাষ। শুধু তাই নয়, অপরিকল্পিতভাবে গণহারে যত্রতত্র পুকুর খনন করায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সবখানেই প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে অসময়ে দেখা দিচ্ছে জলাবদ্ধতা, বাড়ছে জনদুর্ভোগ। জানা গেছে, জমি মালিকদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক অথবা লিজ নিয়ে পুকুর খনন করে দিচ্ছেন একটি চক্র। তারা অধিকাংশ জমির বেশিরভাগ মাটি চড়া দামে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দিচ্ছেন। সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার দেখা গেছে, কহিত ও আসান বাড়ী গ্রামের বিস্তীর্ণ মাঠে পুকুর খননের যেন মহোৎসব চলছে! এদিকে ড্রাম ট্রাকে পুুকুরের মাটি বহনের সময় ট্রাকের পেছনের ঢাকনা খোলা থাকায় ও ওভার লোডিংয়ের কারণে মাটি পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাকা সড়কগুলো। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল করিম দৈনিক খবরপত্রকে বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা লঙ্ঘন করে পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।