সরকারের ঘোষণা একতিল পরিমাণ জয়গাও অনাবাদি বা পরিত্যক্ত থাকবেনা। টি.কে গ্রুপের এডমিন অফিসার উল্টো হাটে! মানে না সরকারের ঘোষণা। কক্সবাজারের মহেশখালী ধলঘাটায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত সরকারি জমি বর্গা প্রক্রিয়ায় স্থানিয় কয়েকজন সাবেক জলদস্যুকে ঘের করতে দিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এডমিন জিকু বিশ্বাস। অনুসন্ধানে জানাগেছে, অর্থনৈতিক অঞ্চল টি.কে গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসপিসিএল প্রকল্পের এর এডমিন অফিসার জিকু বিশ্বাস চাকরির পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ কালো অর্থের মালিক বনে যাচ্ছেন। শুধু তা নয়-প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে কম মূল্য নিজ ও আত্মীয়ের নামে জমি ক্রয় করে সে জমি নিজের কর্মস্থল টিকে গ্রুপে বেশি মূল্য ক্রয় করার অভিযোগও উঠেছে। এতে করে স্থানীয়রা জমির ন্যয্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ অনেকের। ধলঘাটা ইউনিয়নের পন্ডিতের ডেইল এলাকার স্থানিয় আনিছ উল্লাহ, রবিউল হোসেন রুবেল ও বাৃয়োবৃদ্ধা মোহাম্মদ আলী(৭৫) খবরপত্রকে জানান-দখলদারিত্ব, লবণ চাষিদের সাথে শত্রুতামুলক আচরণ, ভূমি বাণিজ্যসহ পুরো প্রকল্প ঘিরে চলছে জিকু বিশ্বাসের ক্ষমতার দাপট। তার অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে স্থানিয়দের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যে মামলা-হামলা ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে মারধরসহ নানা হয়রানি করেন জিকু। এর প্রতিকার চেয়ে গণমাধ্যমে অভিযোগ পাঠাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানির শিকার হওয়া স্থানিয় এবং প্রান্তিক লবণ চাষিরা। মহেশখালীর এ ইকোনোমিক জোনে ৫১০ একর জমির অনুমোদন দেয়া হলেও জিকুর নেতৃত্বে অনেক বেশি জমি দখল নেয় টিকে গ্রুপ। এদিকে-অপরিকল্পিত ড্রেজিং ও নদীভরাট করে জেটি নির্মাণসহ উপকুলীয় বনাঞ্চল বিনাশ করে পরিবেশ বিধ্বংস কর্মকা-ে চালাচ্ছে তারা। জিকু নামের এক যুবকের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন দ্বীপটির কয়েকশো বাসিন্দাকে বলপূর্বক উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানী টি.কে গ্রুপের বিরুদ্ধে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রকল্পের সরকারি জমি প্রকল্প চলমান অবস্থায় পড়ে থাকতে পারবে কিন্তু অর্থের বিনিময়ে কাউকে বর্গা বা লিজে দেওয়া যাবেনা। অথচ বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে জিকু বিশ্বাস নিতান্তই লবন চাষীদের বঞ্চিত করে একটি সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটকে ঠিকই বর্গা দিয়েছেন চিংড়ি ঘের করার জন্য। এমনটা জানিয়েছেন ধলঘাটার ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিক, শ্রমিক ও লবণ চাষিরা জিকুর অনিয়মের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করলে কৌশলে মানববন্ধনটি ঠেকিয়ে দেয় অভিযুক্ত জিকু বিশ্বাস। পরে সে খবর স্থানিয় সাংবাদিকদের কাছে গেলে উপার্জিত কালো অর্থ দিয়ে গনমাধ্যমকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন জিকু। এ ছাড়াও বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রভাব খাটিয়ে দ্বীপবাসীকে জিম্মি করে প্রথমে নিজের নামে-বেনামে, পড়ে সেই জমিই টিকে গ্রুপের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছেন জিকু। এসব অভিযোগ নিয়ে জিকু বিশ্বাসের সাথে কথা হলে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো দায় চাপালেন প্রান্তিক চাষীদের উপর।