গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল ৩টা ০৫ মিনিটে শ্যামলী ক্লাব মাঠ হতে শুরু হয়। জানা গেছে, এ কর্মসূচি শ্যামলী রিং রোড-শিয়া মসজিদ-তাজমহল রোড-নুরজাহান রোড-বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড মোড়-আল্লাহ করিম মসজিদ হয়ে বসিলা সাতরাস্তা মোড় গিয়ে শেষ হয়।
বিএনপি জানিয়েছে, পদযাত্রা কর্মসূচির নেতৃত্বে আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মোশাররফ হোসেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, উপদেষ্টা অ্যাডভোকট জয়নুল আবদিন ফারুক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না প্রমুখ।
এর আগে দুপুর ২টায় বিএনপির এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১টার পর থেকেই নেতাকর্মীরা এসে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। এছাড়া আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান। নেতা কর্মীদের হাতে হাতে রয়েছে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লে কার্ড। খ- খ- মিছিল নিয়ে শ্যামলী ক্লাব মাঠে এসে জড়ো হন দলটির নেতাকর্মীরা।
গ্যাস-বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই পদযাত্রা কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি। গত শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীসহ জনসাধারণের প্রতি ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে দু’দিনের পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ায় গভীর শোক, সমবেদনা, সহমর্মিতা জ্ঞাপন করে ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পদযাত্রা কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।