মুন্সীগঞ্জ টঙ্গীবাড়ী থানার বাঘিয়াবাজারে চলছে ইন্ডিয়ান আতশবাজি বিক্রির ধুম। যেখানে দেশের মানুষের মাঝে চলছে দু বেলা অন্য খোঁজার তাগিদ, সেখানে বিদেশী আতোসবাজি বেচা বিক্রিতে ধুম লেগেছে। প্রতিদিন দুই দোকানে কোটি টাকার বোম বিক্রি হয়। বুধবার সকাল ১০টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রচন্ড ভীড় লেগে রইছে এই দুই দোকানে। ঈদের পরেই ৩০ এপ্রিল এস.এস.সি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের পড়াশুনায়ও বিশাল ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে পটকা বোমের আওয়াজ। বিকট আওয়াজের এই বোমের শব্দ দুষণে ছোট ছোট নারী ও শিশুদের প্রচন্ড রকমের ক্ষতি হতে পারে। বিক্রেতা অস্বীকার করতে পারে তাই তার দোকানের ভাউচারে প্রমাণ স্বরূপ কিছু বোম ক্রয় করা হয়েছে। বাঘিয়া বাজারের এই বোমা মুন্সীগঞ্জের সর্বত্র বিক্রি হয়। প্রতিদিনই কোন্টিনেন্টালের মাধ্যমে অর্ডার দিয়ে ইন্ডিয়ান এ সকল অবৈধ পটকা বোম আনেন এবং পাইকারী বিক্রি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক একাধিক দোকানী বলেছেন পুলিশী ঝামেলা মিটিয়ে ওরা ব্যবসা করে আসছে। এই আতশবাজি বা পটকা বোম সরকারীভাবে নিষিদ্ধ থাকার পরেও প্রকাশ্যে বিক্রি করে যাচ্ছেন এই দোকানদার। একই মালিকের দুই দোকান। বিদেশী আতশবাজির নামে শব্দদোষন, শব্দ আতংক জনজীবন হয়ে উঠেছে দুঃর্বিসহ। এই বাঘিয়া বাজার হতে মুন্সীগঞ্জের দক্ষিনের কয়েকটি জেলার ব্যবসায়য়রা ইন্ডিয়ান আতশবাজি পাইকারী দরে ক্রয় করে নিয়ে যান। দেশের একাধিক আইনশৃংখলা বাহিনী , গোয়েন্দা সংস্থা থাকার পরেও বীরের দর্পে খোলা বাজারে বিক্রি করছেন এ সকল নিষিদ্ধ আতশবাজি বা বিকট আওয়াজের বোম। এই বিষয় বাঘিয়া বাজারে গেলে দেখা মিলে বাজারের ব্রিজের দক্ষিনে ডানের দুটি দোকানে সকাল ৮টা হতে গভীর রাত পযর্ন্ত চলে বেচা বিক্রি। এই দুটি দোকানের মালিক থানা পুলিশকে সুবিদে দিয়ে কয়েক কোটি টাকার আতোসবাজি বা বোমা বিক্রি করে থাকেন। পুলিশ এক ধরনের রহস্যময় ভুমিকা পালন করেন বলেও অভিযোগ করেছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। যেখানে দেশের আইন শৃংখলা নিয়ে নানা রকমের ধোঁয়াসা সেখানে প্রকাশ্যে বিদেশী বোম বিক্রি কতোটুকু যুক্তিসংগত এমন প্রশ্ন করেছেন বাজারে আসা সাধারণ মানুষ। এ বিষয় বোমা বা আতশবাজি বিক্রয়কারী আলমগীর হোসেন মৃধা বলেন, এই আতশবাজি কোম্পানি ইন্ডিয়ান পণ্য কোরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জে আসে। পণ্যগুলো ইন্ডিয়া থেকে বগুড়া হয়ে মুন্সীগঞ্জে আসে। আমরা ্শুধু টাকা পাঠিয়ে দেই। ঈদ বা পুজোতে আমরা বসে বসেই ব্যবসা করতে পারি। বর্ডারে আমাদের যেতে হয় না। পুলিশ কি আপনাদের সমস্যা করে? এমন প্রশ্নের উত্তরে আলমগীর হোসেন মৃধা বলেন এটা ম্যানেজ করেই করতে হয়। এ বিষয় টঙ্গীবাড়ী থানার অফিসার রাজিব খাঁন বলেন, লাইন্সেস থাকলে বিক্রি করতে পারবে। লাইসেন্স না থাকলে পারবে না। তবে এই ধরনের বেচা কেনার বিষয় হয়ে থাকলে আমাদের তথ্য দিলে বিষয়টি দেখবেন বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। এই বিষয় ফোন আলাপে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুমন দেব বলেন আতশবাজি বিধিমালায় নিষিদ্ধ আছে কি না আমার জানা নাই। তবে বিদেশী বাজি বা আতোসবাজি আইন দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।