‘একতরফা’ নির্বাচন বন্ধ করে সঙ্কট সমাধানে সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। সিনিয়র সাংবাদিক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, বিরোধী দলকে বাইরে রেখে তামাশার একতরফা নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। অবিলম্বে নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবি জানান তারা। গতকাল সোমবার সকালে ‘৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনে’ লিফলেট বিতরণ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনটির নেতা সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজীসহ নেতারা সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছেন।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন করেছে। এক সাগর রক্তের বিনিময় যেই দেশটি আমরা সবাই মিলে স্বাধীন করলাম গণতন্ত্রের জন্য, মানবাধিকারের জন্য, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আজকে সেই দেশে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হয়। এর চেয়ে দু:খ আর কি হতে পারে? আপনি ’১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভোট করলেন, ’১৮ সালে রাতে ভোট করলেন। এখন আবার তামাশার নির্বাচন শুরু করেছেন, ডামি নির্বাচন শুরু করেছে যে নির্বাচন কেউ মানে না, বাংলাদেশের জনগণ এই নির্বাচন মানে না।’ ‘এদেশের মানুষ স্বাধীনতাকামী, এদেশের মানুষ গণতন্ত্রের পূজারি। এই দেশের মানুষ কখনো পরাধীনতা মেনে নেয় না, কখনো পরাধীনতা মেনে নেবে না।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতা-কর্মীরা সমবেত হন। তারা আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনে তোপখানা রোডে পথচারি, বাস-রিকশা চালক ও যাত্রীদের হাতে হাতে লিফলেট তুলে দেন। এই সমাবেশে অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক খান মো: মনোয়ারুল ইসলাম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের দেলোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রকৌশলী আব্দুল হালিম মিঞা, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা বেগম, সাংবাদিক বাছির জামাল, রাশেদুল হক, একেএম মহসিন, সাঈদ খানসহ পেশাজীবী নেতারা ছিলেন।