প্রেমে পড়লে চেনা মানুষটি অচেনা হয়ে যায়! পৃথিবীর সব সৌন্দর্যের দিকে তার মনোযোগ চলে যায়। সব রঙ, রূপ, সুগন্ধ যেন শুধুই তার। যে ছেলেটা এলোমেলো চুলে কোনোরকম একটা পোশাক পরে বেরিয়ে যেত, সেও নিজের প্রতি যতœ নেয়। যে মেয়েটা বন্ধুদের শত অনুরোধেও কোনোদিন কানে দুল পরেনি কিংবা একটু মেকাপ ব্যবহার করেনি সেও সেজেগুজে বের হয়। এর কারণ হচ্ছে মানুষ প্রেমে পড়লে হ্যাপি হরমোনের প্রভাবে বদলে যায়। যা আমাদের মন ভালো রাখার কাজ করে। ফলে হতাশা দূর হয়। কাজে মনযোগ বাড়ে। এমনকি নতুন কিছু সৃষ্টিতেও মনে আগ্রহ আসে।
ইউটি হেলথ অস্টিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেম আপনার ইমিউন সিস্টেম বাড়িয়ে দেয় আশি শতাংশ পর্যন্ত। ঘুমের উন্নতি ঘটায়। কারণ প্রেমময় সম্পর্ক মানসিকভাবে বিষণ্ন হতে দেয় না। সকালে ঘুম থেকে উঠলে সতেজ বোধ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। প্রেমে থাকলে নেতিবাচক উত্তেজনা হ্রাস পায়। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি উপকারিতা রয়েছে প্রেমের। মন শান্ত থাকে: যারা বলেন, আমি প্রেম করা পছন্দ করি না তারা কিন্তু সত্য বলেন না। সব মানুষের জীবনেই কোনো না কোনো প্রেমের প্রয়োজন। প্রেম পড়লেই নিজের মনের একান্ত কথা বলার মানুষ পাওয়া যায়। এতে ব্রেনে নতুন সেল তৈরি হয়। যার ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। হার্টবিট ঠিক থাকে: প্রেমে পড়লে মন ভালো থাকে। আর প্রেম মানেই রোমান্টিক আলাপচারিতা। এর ফলে অক্সিটোসিন হরমোন নির্গত হয়। যার ফলে রক্তচাপ কমে। হার্টবিট ঠিক থাকে। এতে চাপমুক্ত থাকা যায়। সেই সঙ্গে অনেক নেতিবাচক চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়: মন ভালো থাকলে মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। হতাশা দূর হলেই মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। যেকোন কাজে নতুন করে এনার্জি পাওয়া যায়। জীবন অনেক সুন্দর হয়। ত্বকের জন্য ভালো: রোমান্স থেকেই শরীরে এন্ডরফিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। যার প্রভাবে মুখে অন্যরকম গ্লো তৈরি হয়। ত্বক হয়ে ওঠে আরও সুন্দর। তাছাড়া প্রেমে পড়লেই ছেলে হোক কিংবা মেয়ে- প্রত্যেকে নিজের বাড়তি যতœ নিয়ে থাকেন। কীভাবে তাকে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগবে সেই চেষ্টা করেন। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে রূপচর্চা হয় আগের থেকে বেশি। ফলে ত্বক ভালো থাকে।
শেষ কথা, প্রেমে পড়লে নিজের প্রতিও ভালোবাসা বাড়ে। কেননা সব মানুষই তখন নিজেকে একটু বেশি সময় দেন।