বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুর রহমান মূসা বলেছেন, ‘নিজেদের ব্যক্তিগত আমলকে সুন্দর করে মানুষের মাঝে দ্বীনের দাওয়াত গ্রহণযোগ্য ও ফলপ্রসূ করে তুলতে হবে। যেন আমরা নিজেদেরকে পরিপূর্ণ মুমিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি।’ এ সময় তিনি একটি সফল বিপ্লবের জন্য সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের মোহাম্মদপুর জোন আয়োজিত এক বার্ষিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, ‘আমাদের দুনিয়ার জিন্দিগি খুবই সীমিত সময়ের জন্য। যেকোনো মুহূর্তে আমাদেরকে পরপারে পাড়ি দিতে হবে। আর দুনিয়া হচ্ছে আখেরাতের শষ্যক্ষেত্র। তাই আমাদেরকে আখেরাতের পাথেয় ও পুঁজি দুনিয়াতেই সংগ্রহ করতে হবে। এর জন্য আমাদেরকে বেশি বেশি নেক আমল করা দরকার। মূলত, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে দুনিয়াতে খলিফা বা প্রতিনিধি হিসেবে প্রেরণ করেছেন। প্রতিনিধির কাজ হলো মালিকের আদেশ-নিষেধ যথাযথভাবে মান্য করা। আর আমাদের দায়িত্বই হলো মানুষকে আল্লাহ তায়ালার নিরঙ্কুশ গোলামী করার আহ্বান এবং সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী হচ্ছে মানুষ গড়ার কারখানা। রুকনরা হচ্ছেন সংগঠনের মূল ভিত্তি। তাই আত্মশুদ্ধি ও নিজেদেরকে ইসলামী বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে সকলকে বাইয়াতের প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। মূলত, বাইয়াত আমাদেরকে জান্নাতের অভিযাত্রী হতে সহায়তা করে।’
তিনি রাজনৈতিক সঙ্কটের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘দেশ ও জাতি এক গভীর সঙ্কটের মুখে পড়েছে। সরকার দেশকে একদলীয় বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করছে। তাই এ অবস্থা থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত করতে হলে শপথের জনশক্তিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতি গঠনের আগে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। তাহলেই দেশকে একটি ইসলামী কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব।’
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জোন পরিচালক জিয়াউল হাসানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আব্দুল হান্নান, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন, অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম ও আব্দুল আউয়াল আজম প্রমুখ।
ভাষানটেক থানা জামায়াতের বার্ষিক রুকন সম্মেলন: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভাষানটেক থানার আয়োজনে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বার্ষিক রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও থানা আমির ডা. দ্বীন মোহাম্মাদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহাগনরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক। উপস্থিত ছিলেন অঞ্চল টিম সদস্য মো: আলাউদ্দিন মোল্লা ও মুফতি মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
আদাবরে সদ্য কারামুক্তদের সংবর্ধনা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের আদাবর থানার উদ্যোগে সদ্য কারামুক্তদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। থানা সেক্রেটারি মিঠুর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মোহাম্মদপুর জোন পরিচালক জিয়াউল হাসান। উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য এনামুল হক-সহ স্থানীয় নেতারা।
শ্রমজীবী বিভাগের উত্তরা পশ্চিম জোন সম্মেলন: ঢাকা মহানগরী উত্তর শ্রমজীবী বিভাগের উত্তরা পশ্চিম জোনের উদ্যোগে সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগের মহানগরীর সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান পান্নার সঞ্চালনায় সম্মেলনে দারসুল কোরআন পেশ করেন উত্তরা পশ্চিম থানার সভাপতি মাওলানা নাজমুল হোসাইন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি মাওলানা মো: মহিব্বুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আতিকুর রহমান। আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর কার্যকরী কমিটির সদস্য উত্তরা আবু হানিফ, বশির আহমেদ, উত্তরা পূর্ব থানা সভাপতি মো: হেদায়েত উল্লাহ, তুরাগ উত্তর থানা সভাপতি আব্দুল হালিম ও তুরাগ দক্ষিণ থানার সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ প্রমুখ।
ক্যান্টনমেন্ট থানায় শীতবস্ত্র বিতরণ: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর ক্যান্টনমেন্ট থানার উদ্যেগে মাটিকাটায় শীতার্ত মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্র উপহার প্রদান করা হয়। থানা আমির এ বি সাকিরের সভাপতিত্বে ও ওয়ার্ড সেক্রেটারি আব্দুল খালেকের পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা আবুল কাসেম ও এন রহমান প্রমুখ।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি