ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে থানা পুলিশের পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমা নিখোঁজের পর থেকেই পুলিশের কাছে বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছিল। পরবর্তীতে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাটি অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার সকালে একটি অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে তার স্বামীর নম্বরে ফোন দেন হালিমা। পরে পুলিশ ওই ফোনকলের সূত্র ধরেই হালিমার গতিবিধি সম্পর্কে নিশ্চিত হন। পরে নারায়গঞ্জের সোনারগাঁ থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে কাঁচপুর পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে বিজয়নগর থানা পুলিশের একটি দল তাকে সেখান থেকে নিয়ে আসার জন্য কাঁচপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। বিকাল নাগাদ তাকে বিজয়নগর নিয়ে আসা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রার্থীর নিখোঁজ প্রসঙ্গে বিজয়নগর থানার ওসি আসাদুল ইসলাম আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ভোটের মাঠে ভোটারদের সহানুভূতি পেতে হয়তো তিনি স্বেচ্ছায় নিখোঁজ হয়েছিলেন। তবে বিষয়টি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আরও স্পষ্ট হবে। কারণ, তিনি কেন আত্মগোপনে গিয়েছিলেন, কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন—এ ধরনের অনেক বিষয় রয়েছে। তার সম্পর্কে স্পষ্ট জেনে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এদিকে নিখোঁজের পর থেকে প্রীতি খন্দকারের স্বামী মাসুদ খন্দকার দাবি করে আসছিলেন, আগামী ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। এই নির্বাচনে তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। সার্ভার ত্রুটির কারণে তার মনোনয়নপত্র জমা দিতে সমস্যা হওয়ার ফলে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে হরষপুর ইউনিয়নে দুই সহযোগী নিয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় যান প্রীতি। হরষপুরের ঋষিপাড়ায় ঢুকে প্রচার করা অবস্থায় দুই নারী বাইরে আসেন আর প্রীতি ভোটারদের সঙ্গে ভেতরে কথা বলছিলেন। সেখানে ২০ মিনিট পার হলেও যখন বের হচ্ছে না তখন ওই দুই নারী ভেতরে যান। ভেতরে গিয়ে তাকে আর পাননি তারা। পরে বিষয়টি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানার ওসিকে জানানো হয়েছে। থানায় জিডিও করা হয়েছে। সে সময় তিনি তার স্ত্রীকে গুমের আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছিলেন।