জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন জরাজীর্ন ও দেওয়ালে ফাটল ধরে ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতে পাঠদান সহ ও পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এলাকাবাসী। ৫ বছর আগে ভবনটিতে ফাটল ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সেটিকে সংস্কার বা পরিত্যক্ত করা হয়নি। এমনই অবস্থাতেই বিদ্যালয়ের ঐ ভবনের মাঝে বাঁশের বেড়া দিয়ে এক পাশে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায় অচিরেই সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরদিকে ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবন সংলগ্ন পূর্ব পাশ দিয়ে জন সাধারণের চলাচলের রাস্তা থাকায় ভবনটি আকর্ষিক ভেঙ্গে পড়ার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের কোন দূর্ঘটনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্ষা মৌসুমে ধরঞ্জী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের পাশ দিয়ে পানির নামার কারণে মাটি সরে গিয়ে ভবনের নিচে বেশ বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ভবনটির চারদিকে দেওয়ালে ফাটল সহ ভবনের পূর্ব ওয়াল ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থায় যেকোন মুহুর্তে বিদ্যালয়ে ভবনটি সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙ্গে পড়তে যেতে পারে বলে স্থানীয় আশংকা করছেন। এ ছাড়াও বিদ্যালয়টির পূর্ব পার্শের রাস্তাটিও ভেঙ্গে যাওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী কয়েক শত মানুষ জীবনের ঝুঁকি চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম বাঘা বলেন, দীর্ঘদিনের এই জরাজীর্ণ স্কুল ভবনের কারণে প্রতিদিন আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভবন সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে চলাচল করছি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। একই এলাকার আফতাব হোসেন বলেন, স্কুলের ছোট্ট বাচ্চারা ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ঘরে পাঠগ্রহন সহ পাশ দিয়ে চলাফেরা করে। আমরাও ভয়ে ভয়ে চলাচল করি। নতুন ভবন না হলেও ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনটি অচিরেই ভেঙ্গে ফেলা উচিত। এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি সর্ম্পকে ইতোপূর্বে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জনানো হয়েছে। মুলত তারা এটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এ জেলায় নতুন যোগদান করেছি, বিষয়টি আমার জানা নেই । আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তকর সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।