পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে মোঃ আল-আমিন হোসেন নামের এক ছাত্রদল নেতার হাত-পা,কোমর ভেঙ্গে এবং সাথে সমগ্র শরীর থ্যাঁতলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন?। তবে পঞ্চম দিনেও ফেরেনি জ্ঞান,পারছেন না কথা বলতে। আহত আলামিন উপজেলার ৬ নং মজিদবাড়ীয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত কবির হোসেন গোলদারের পুত্র। আলামিন ডিস ব্যবসা ও ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন ব্যবসার সাথে জড়িত। তাঁরা খলিসাখালী বাজার মসজিদের সামনে নিজেদের বাসায় থাকেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,গত (২২ জানুয়ারি) রাত ১২টার সময় স্থানীয় আবুু খানের ছেলে মোঃ রিয়াজ তাদের বাসায় এসে আলামিনকে ডেকে নিয়ে যায়। কিছু সময় পরে তাঁরা জানতে পারে দক্ষিণ মজিদবাড়িয়া গ্রামের টুকু মিঁয়ার স’মিল থেকে পূর্ব দিকে ২০০ ফিট দূরত্বে কাঞ্চন মিয়ার বাড়ির সামনে ভাঙ্গা রাস্তার উপর আহত অবস্থায় আলামিন পড়ে আছে। তাঁর পা দুটো সম্পূর্ণভাবে এবং হাত দুটো গুড়া গুড়া করে ফেলা হয়েছে, কোমরও আংশিকভাবে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বলে জানান আলামিনের বড় ভাই মোঃ সালাউদ্দিন জুয়েল। তিনি জানান, শরীরের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে আঘাত করা হয়নি। সমগ্র শরীর থ্যাঁতলা করা হয়েছে। মোঃ সালাউদ্দিন জুয়েল আরও জানান, কে বা কারা এর সাথে জড়িত আলামিন জ্ঞান না করা পর্যন্ত মুখ খুলতে চাচ্ছেন না তাঁরা। মামলাও প্রক্রিয়াধীন। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শামীম হাওলাদার বলেন, জানতে পেরেছি এরকম ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।