সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
কয়রায় উপকুলের মানুষ নানান প্রতিকুলতার মধ্যে সংগ্রাম করেই বেঁচে থাকে কাপাসিয়ায় ৫০ জন সহকারী শিক্ষকের যোগদান : ফুলেল শুভেচ্ছা কমলগঞ্জে ইসলামী যুব মজলিসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক এবং সঞ্চয় ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে সনাক-টিআইবির মানববন্ধন ফটিকছড়িতে ইফতার মাহফিলে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন আমরা ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই মাদারীপুরে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী দেয়া হবে জামালপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা নওগাঁয় ২৫০ জন কুরআনের হাফেজকে সংবর্ধনা

অবসর কেন প্রয়োজন

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

আজকের ব্যস্ত জীবনে অবসর যেন এক প্রকার বিলাসিতা! কাজ, পড়াশোনা, পরিবার, সামাজিক দায়িত্ব—এসবের ভিড়ে প্রায়ই নিজের জন্য সময় বের করতে ভুলে যাচ্ছেন নগরের বাসিন্দারা। কাজের ও দায়িত্বের স্থান চলে যাচ্ছে নিজেরও উপরে। হয়তো প্রতিনিয়ত ভাবছেন অমুক কাজটা করতে পারলে বিরতি নিবো। কিন্তু এভাবে যে নিজেরই ক্ষতি করছেন, তা কি জানেন? দনের মাঝে ৩০ মিনিট বা একঘণ্টার বিরতি, দু’মাসে একবার কিছুটা অবসর শুধু বিলাস নয়, এটি আমাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার একটি খোরাক। নিজের জন্য এই সময়টুক গুরুত্বের সঙ্গে পরিকল্পনা করুন। কারণ সময়টি আমাদের চিন্তা-ভাবনা, সৃজনশীলতা এবং আত্মবিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজকের দ্রুতগতির জীবনে অবসর সময়কে প্রায়ই অবহেলা করা হয় বা একপ্রকার বিলাসিতা হিসাবে দেখা হয়। তবে, এটি আমাদের মানসিক, এবং শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে প্রচ- গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অবসর সময় শুধু বিশ্রামের জন্য নয়। এটি একটি পরিপূর্ণ দিনের অংশ। ছোট ছোট অবসর আপনার জন্য কী কী করে জেনে নিন-
১. মানসিক চাপ ও স্বাস্থ্যের উন্নতি করে
অবসর সময়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। আমরা যে কাজগুলো উপভোগ করি, সেগুলো করলে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমে, যা মানসিক চাপের জন্য দায়ী। বই পড়া, হাঁটা বা শখের কাজে সময় দেওয়া—এসব কাজ আমাদের দৈনন্দিন চাপ থেকে মুক্তি দেয় এবং মনকে সতেজ করে তোলে।
২. সৃজনশীলতা এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ায়
অবসর সময় আমাদের মস্তিষ্ককে নতুন চিন্তাভাবনার জন্য সুযোগ করে দেয়, যা সৃজনশীলতা বাড়ায়। যখন আমরা কাজ বা রুটিন থেকে বিরতি নেই, তখন প্রায়ই সমস্যার নতুন সমাধান খুঁজে পাই বা নতুন শখ আবিষ্কার করি। এছাড়াও, নিয়মিত বিরতি নেওয়া আমাদের প্রতিদিনের কাজেও নতুন উদ্যম ফিরিয়ে আনে এবং ক্লান্তি দূর করে।
৩. শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নত করে
অবসর সময়ে বিভিন্ন ফিজিকাল অ্যাক্টিভিটি যেমন খেলাধুলা, নাচ, বেড়াতে যাওয়া ইত্যাদি আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এগুলো হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৪. সম্পর্ক উন্নত করে
এটি পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর একটি সুযোগ, যা সম্পর্কের বন্ধন মজবুত করে এবং সামাজিক যোগাযোগ বাড়ায়।
৫. আত্মবিকাশের সুযোগ দেয়
অবসর সময় নিজেকে চেনার এবং নতুন দক্ষতা শেখার একটি সুযোগ। এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়। নিয়মিত অবসর সময় বের করে নিজেকে সময় দিলে জীবনকে আরও সুন্দর এবং পরিপূর্ণ রূপে অনুভব করতে পারবেন।
একাকী সময় উপভোগ করতে পারেন যেভাবে
অনেকে মনে করেন, একাকী সময় মানেই একঘেয়েমি বা নিঃসঙ্গতা। কিন্তু বাস্তবে এটি নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করার একটি সুযোগ। একাকী সময় উপভোগের কিছু সাধারণ উপায়- পছন্দের বই পড়া: বই হলো একাকী সময়ের সেরা সঙ্গী। এটি আপনার জ্ঞান ও কল্পনাশক্তি বাড়ায়। সৃজনশীল কাজে মনোনিবেশ করা: ছবি আঁকা, গান গাওয়া, লেখালেখি বা হস্তশিল্পের মতো সৃজনশীল কিছু চেষ্টা করে দেখতে পারেন কোনটা আপনার ভালো লাগে কিনা।

প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটানো: বাগানে কাজ করা, পার্কে হাঁটা বা শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা মনকে প্রশান্ত করে। ধ্যান বা মেডিটেশন: এটি মানসিক শান্তি ও একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। নতুন দক্ষতা শেখা: রান্না, ভাষা শেখা বা যেকোনো নতুন শখ আপনাকে উদ্যমী রাখবে। অবসর সময় জীবনের এমন একটি অংশ যা নিজেকে চেনা এবং উন্নত করার রাস্তা দেখায়।একাকী সময়কে ভয় পাবেন না, বরং এটিকে কাজে লাগান। নিজের সঙ্গে সময় কাটান, নিজের পছন্দ-অপছন্দ বুঝুন এবং জীবনের ছোট ছোট আনন্দগুলো উপভোগ করুন। মনে রাখবেন, অবসর সময় হলো নিজেকে উৎসর্গ করার সবচেয়ে সুন্দর উপায়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com