সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
কয়রায় উপকুলের মানুষ নানান প্রতিকুলতার মধ্যে সংগ্রাম করেই বেঁচে থাকে কাপাসিয়ায় ৫০ জন সহকারী শিক্ষকের যোগদান : ফুলেল শুভেচ্ছা কমলগঞ্জে ইসলামী যুব মজলিসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক এবং সঞ্চয় ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে সনাক-টিআইবির মানববন্ধন ফটিকছড়িতে ইফতার মাহফিলে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন আমরা ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই মাদারীপুরে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রার্থী দেয়া হবে জামালপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা নওগাঁয় ২৫০ জন কুরআনের হাফেজকে সংবর্ধনা

দেশ গঠনে সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের

শাহ্জাহান সাজু:
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

দেশ গঠনে সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা নতুন করে গড়ে তুলব। সবাই এই কথাটা বলছে। এতে সবার আরো বেশি আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ গঠনে সবাই মিলে কাজ করতে পারি। গতকাল শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মরহুম সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মরণোত্তর একুশে পদক প্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকালকের অনেক সাংবাদিকই নিজেদের আখের গোছানোর জন্য দালালি করে। তবে এটা সবার ক্ষেত্রে বলি না। এ কথা বলাটা ভালো হলো না। তারপরও বলতে হলো। কারণ, তারা বাড়ি-ঘর, ফ্ল্যাট-প্লট সব জোগাড় করে। অথচ মাহফুজ উল্লাহর কিছুই ছিল না। তার চিকিৎসার জন্য পরিবারকে বন্ধুদের কাছে হাত পাততে হয়েছিল।
মরহুম সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘২০১৪-এর নির্বাচনের পরে, ২০১৮ নির্বাচনের আগের সময়টাই তিনি অনেক কাজ করেছেন। তখন সকল দলকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য মাহফুজ উল্লাহ, মাহবুব উল্লাহ ও জাফরউল্লাহ ভাইয়ের অসাধারণ প্রচেষ্টা ছিল। তারা ছিলেন বলেই ডান, বাম সবাই মিলে একটা জায়গায় আসা সম্ভব হয়েছিল। একেবারেই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন মানুষ ছিলেন, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করেছেন।’ মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যারা জীবনে বেশিরভাগই বিপ্লবী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম, আমরা সেদিন শ্রেণি শত্রু খতম করার স্লোগানও দিয়েছি। এরপরে রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনার যে পরিবর্তন এসেছে, সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজও শুরু করেছিলাম।
তিনি আরো বলেন, আজ আমরা আশাবাদী, ফ্যাসিবাদের পরিবর্তন হয়েছে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পালিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যে চেষ্টা করেছে, লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, সবশেষে ছাত্র-জনতার সমবেত প্রচেষ্টায় সেটা সম্ভব হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের অনেক বয়স হয়েছে। নবীন-তরুনরা আছেন, যারা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন। সেই চিন্তার মধ্যেই কিন্তু আগের যাদের এই দেশকে সুন্দর করার জন্য অবদান, সেই অবদানগুলোকে যেনো আমরা কখনোই ভুলে না যাই। কারণ, এদের কাজের উপরই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, সত্যিকার অর্থেই একজন গুণী, অসাধারণ মেধাবী এবং একজন দেশপ্রেমিক মানুষকে সরকার একুশে পদকের মাধ্যমে সম্মানিত করেছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, মাহফুজ উল্লাহ তার বড় ভাইয়ের (মাহবুব উল্লাহ) মতোই মেধাবী ছিলেন। তখনকার দিনে বোর্ড স্ট্যান্ড করেছিলেন, কিছুটা পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণেও বাম রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়েন। তার মূল উদ্দেশ্যটাই ছিল সমাজে পরিবর্তন নিয়ে আসা। মানুষের কল্যাণের জন্য, মানুষের পাওনা পাইয়ে দেয়ার রাষ্ট্র ব্যবস্থা চাইতেন।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ, মরহুম মাহফুজ উল্লাহর ভাই মাহবুব উল্লাহ, অন্তর্র্বতী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সাবেক সচিব ইসামাইল জবিউল্লাহ, সাংবাদিক গোলাম মর্তুজা, চিত্রশিল্পী রোকেয়া সুলতানা, দৃকের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম প্রমুখ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com