বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে এখন সেখানে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে। এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছিল গুম-খুনের রাজনীতি।
গতকাল সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ধামরাই পৌরসভার যাত্রাবাড়ী খেলার মাঠ ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে। স্বৈরাচারের দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেদিকে বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’
এ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সেইসাথে অতি শিগগিরই নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী করে করে রেখেছিল স্বৈরাচার হাসিনা সরকার। তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বলেন, বেগম জিয়া গণতন্ত্রের জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে আপস করেনি।
তিনি আরো বলেন, শাপলা চত্বরে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। মিথ্যা ও পরিকল্পিত মামলা দিয়ে বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন
কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দিয়েছিল। ‘স্বৈরাচার হাসিনা সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। ’১৮ সালে নির্বাচনে হাসিনা আমাদের প্রার্থীদের গ্রেফতার করে দিনের ভোট রাতে করে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭৫ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকশালকে সংস্কার করে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিল। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চালু করে ছিল বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের ৩১ দফা সংস্কার করলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। ‘সংগঠনকে শক্তিশালী করতে মানুষকে ভালোবেসে কাছে আনতে হবে। বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের ঠাঁই নেই। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের কোনো ব্যক্তি যেন বিএনপিতে স্থান না পায়।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, শহীদ জিয়া সংবাদপত্রকে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।’ ‘বিএনপি আন্দোলন মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে বদ্ধপরিকর সব সময়,’ বলেন দলের মহাসচিব। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইদুল আলম বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, নজরুল ইসলাম আজাদ, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা: সালাউদ্দিন বাবু, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহাম্মেদ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ধামরাই উপজেলার সভাপতি তমিজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শামছুল ইসলাম, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি, ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান আমান অমি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, সাভার থানা বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ও ঢাকা জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু হানিফ প্রমুখ।