এয়ার কন্ডিশনার আমাদের আধুনিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে। তবে এসি ব্যবহারে মাস শেষে বেশি বিদ্যুৎ বিল সবার মাথা ব্যথার কারণ। কিন্তু জানেন কি? আপনার ব্যবহারের ভুলেই আসলে এসির বিদ্যুৎ বিল বাড়াতে পারে।
বিদ্যুৎ বিল বাড়ার কারণেই অনেকেই কিছুক্ষণ এসি চালানোর পর তা বন্ধ করে দেন।এই বিষয়ে প্রথমেই জেনে রাখা প্রয়োজন যে, রিমোট থেকে এসি বন্ধ করলেও এটি বিদ্যুৎ খরচ করতে থাকবে। অনেকের অভিযোগ, অল্প সময়ের জন্য এসি চালানোর পরও তাদের বিদ্যুৎ বিল খুব বেশি আসছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কেন কম এসি ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে।
বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের বেডরুমে এসি লাগিয়ে থাকেন। রাতে ঘুমানোর সময় বা প্রয়োজন না হলে রিমোট থেকে এসি বন্ধ করে দেন। সেই সময় বেশিরভাগ মানুষ মেন সুইচ থেকে এসি বন্ধ করেন না। কিন্তু এখানে একটি ভুল তাদের বিদ্যুতের বিল বাড়িয়ে দিতে পারে। আসলে, এই সময়ে ইনডোর ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু, আউটডোর ইউনিট চলতে থাকে।
সেই সময় রিমোটের অফ বোতাম টিপলে এসির লাইট নিভে যায় এবং সকলেই ভাবতে থাকেন যে এসি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে এসির রিলে সুইচ নষ্ট হলে, আউটডোর ইউনিট সবসময় চলতে থাকবে।
আউটডোর ইউনিট বাইরে থাকার কারণে, যে কেউ জানতে পারেন না যে, তাদের এসি বন্ধ নেই, তা চালু রয়েছে এবং ক্রমাগত বিদ্যুৎ খরচ করছে। এই অবস্থায় এসি কম ব্যবহার করলেও ২৪ ঘণ্টার বিদ্যুতের বিল আসতে পারে।
রিমোট থেকে এসি বন্ধ করার পর মেন লাইন থেকেও এসি বন্ধ করা প্রয়োজন। মেন লাইন থেকে এসি বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই এতে বিদ্যুৎপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে এবং রিলে সুইচে কোনও ত্রুটি থাকলে আউটডোর ইউনিটে লাগানো কম্প্রেসার কাজ করবে না।
জেনে রাখা প্রয়োজন যে, কম্প্রেসার ক্রমাগত চালানোর ফলে এটি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে বেশি বিদ্যুতের বিল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই কম্প্রেসার মেরামত করতেও টাকা খরচ করতে হতে পারে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া