রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১১:২০ পূর্বাহ্ন

ঢাকায় এসেছে বক্স অফিস কাঁপানো ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’

বিনোদন ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

গতকাল ৩০ মে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে ডিজনির নতুন লাইভ-অ্যাকশন সায়েন্স ফিকশন কমেডি ছবি ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। ২০০২ সালের জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রটির আধুনিক রূপায়ণ এটি। ডিন ফ্লেইশার ক্যাম্প পরিচালিত এই নতুন সংস্করণে আধুনিক ভিএফএক্সের ছোঁয়ায় গল্পটিকে উপস্থাপন করা হয়েছে আরও আবেগময় ও দৃষ্টিনন্দনভাবে।
ছবিটি ২৩ মে আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেয়েছে এবং প্রথম সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রে আয় করেছে ১৮৩ মিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাপী আয় দাঁড়িয়েছে ৩৪১ মিলিয়নে। বক্স অফিসে সাফল্য পেলেও, মূল সংস্করণের তুলনায় কিছুটা আবেগের ঘাটতি নিয়ে সমালোচনা এসেছে দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে। বিশেষ করে, জনপ্রিয় ভিলেন ক্যাপ্টেন গ্যান্টুকে বাদ দিয়ে তার পরিবর্তে ড. জুম্বাকে ভিলেন হিসেবে তুলে ধরায় এবং স্টিচের চরিত্রে বেশি কমেডি ঢোকানোয় ভক্তদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
ছবির গল্পের মূল কেন্দ্রে রয়েছে ছয় বছর বয়সী হাওয়াইয়ান মেয়ে লিলো পেলেকাই। হুলা নাচ ও সার্ফিং ভালোবাসা এই মেয়েটি একাকীত্বে ভুগছে এবং তার বড় বোন নানির সঙ্গে বসবাস করছে।
একদিকে গ্যালাক্সির এক দূর গ্রহে বিজ্ঞানী ড. জুম্বা জুকিবা বেআইনি জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে তৈরি করেন এক ভয়ঙ্কর শক্তিশালী প্রাণী। এটি এক্সপেরিমেন্ট ৬২৬, যাকে পরে স্টিচ নাম দেওয়া হয়। স্টিচ পালিয়ে এসে হাওয়াইয়ের কাউআই দ্বীপে পড়ে যায়। লিলো তাকে একটি কুকুর ভেবে দত্তক নেয়।
এরপর শুরু হয় এক অসাধারণ বন্ধুত্বের গল্প। স্টিচ ধ্বংসের জন্য তৈরি হলেও লিলোর ভালোবাসায় ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে। এই সময়েই ড. জুম্বা ও তার সহযোগী প্লিকলি পৃথিবীতে এসে স্টিচকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনা লিলোর জীবনে বিশাল আলোড়ন তোলে।
ছবির শেষদিকে দেখা যাবে, স্টিচ নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লিলোকে রক্ষা করে। তার এই আত্মত্যাগ ও পরিবর্তন দেখে গ্র্যান্ড কাউন্সিলওম্যান তাকে পৃথিবীতে থাকার অনুমতি দেন এবং ড. জুম্বাকে গ্রেফতার করা হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com