রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিছক রাজনৈতিক নেতা বললে তাঁকে ছোট করা হবে। তিনি ছিলেন একজন রাষ্ট্রনায়ক। তিনি ছিলেন ‘ন্যাশন বিল্ডার’। জাতিকে গড়ে তোলা ও জাতিকে একটি দৃঢ়ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করা, এই দায়িত্ব ও কর্তব্য তিনি পালন করেছেন। এটি করতে গিয়ে তাকে জাতি গঠনমূলক অনেক কাজ করতে হয়েছে।
বাসস প্রতিনিধি রুমানা জামানের সাথে একান্ত এক সাক্ষাতকারে তিনি আরও বলেন, এ দেশে আমরা এখনো ভালো যা কিছু দেখি, তার ইতিহাস অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে এর পেছনে রয়েছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান। আজকের দিন পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে তিনটি স্তম্ভের ওপর। সেগুলো হলো কৃষি, পোশাকশিল্প এবং বিদেশি রেমিট্যান্স।
দেশের মানুষের কল্যাণে জিয়াউর রহমানের অবদান তুলে ধরে অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের কৃষিকে স্বনির্ভর করে তোলা, কৃষির উৎপাদন দ্বিগুণ, চাষের নিবিড়তা বৃদ্ধি , সেচ সুবিধা, পর্যাপ্ত সারের ও বীজের ব্যবস্থা করা- এ সবকিছু জিয়াউর রহমান খুব নিষ্ঠার সঙ্গে সংগঠিত করার চেষ্টা করেছেন। ১৯৭১ সালের পর যে পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন হতো, তার চেয়ে এখন তিন গুণ খাদ্য উৎপাদন হয়। শাকসবজিসহ অন্যান্য শস্য উৎপাদন অনেক বেড়েছে। ফল ও ফুলের উৎপাদন অনেক বাড়ছে। হাঁস-মুরগির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব অগ্রগতির পেছনে রয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
তিনি তাঁর বক্তৃতা ও বিবৃতিতে সব সময় বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা বলতেন। এসব কাজ কীভাবে করা যায় তার জন্য তিনি কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতেন। তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে হেঁটে বেড়াতেন। কৃষকের ঘরে ঘরে ধরনা দিয়েছেন। কৃষকদের জীবন সুন্দর ও মসৃণ করার জন্য কী করা যায়, সে বিষয়ে তাদের পরামর্শ নিয়েছেন। কী করে কৃষকরা দারিদ্র্যের কশাঘাত থেকে বের হয়ে আসতে পারে তা নিয়ে চিন্তা করেছেন। কী করে কৃষকরা নিজের উৎপাদিত ফসল দিয়েই নিজের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে পারে। জিয়াউর রহমান যে কৃষকের ঘরে ঘরে গিয়েছেন এখনো মানুষ তা স্মরণ করে। এতে করে বাংলাদেশের গ্রাম একটা ভিন্ন চেহারা খুঁজে পায়। জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, বাংলাদেশের গ্রাম বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে। গ্রামের উন্নয়নের দিকে তার মনোযোগ ছিল। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এসব কাজ করেছেন।
বাংলাদেশের অন্যতম আয়ের উৎস গার্মেন্টসশিল্প। বাংলাদেশের গার্মেন্টসশিল্প যাতে গড়ে ওঠে সে জন্য তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার দাইউ কোম্পানির সঙ্গে কথাবার্তা বলেন।
তাদের সহযোগিতায় গার্মেন্টসশিল্পের কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। বাংলাদেশে গার্মেন্টসশিল্প স্থাপনে তাদের যে ভূমিকা, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হিসেবে তিনি তাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তা ছাড়া শিল্পের জন্য সহায়ক যে নীতি ‘বন্ডেড ওয়্যারহাউস’ এবং ‘ব্যাক টু ব্যাক এলসি’ অনেক সাহসিকতার সঙ্গে তিনি করেছেন। ‘ব্যাক টু ব্যাক এলসি’ পলিসি ভারতের মতো রাষ্ট্রও তখন করতে সাহস পায়নি। অথচ তিনি সেটা করেছেন। বাংলাদেশের গার্মেন্টসশিল্প এখন বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তর শিল্প হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এর ফলে আমাদের নারীদের নতুন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
আমাদের দেশের শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষকে কাজের জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন উল্লখ করে এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, আমাদের বৈদেশিক সম্পর্ককে তিনি আরও মজবুত করেছিলেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের বড় একটা অংশ পাঠাচ্ছে বিদেশে কর্মরত শ্রমজীবী মানুষ। রেমিট্যান্সের কারণেই বাংলাদেশ অনেকটা রক্ষা পাচ্ছে। এখন বাংলাদেশে এক সংকটময় সময় যাচ্ছে। এই সংকটে রেমিট্যান্সের গুরুত্ব অনেক বেশি। অর্থনীতির ক্ষেত্রে এই তিনটি বিষয়ের গুরুত¦পূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, আর এসব বিষয়ে জিয়াউর রহমানের অবদান অনস্বীকার্য।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের অবদান অতুলনীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর রাজনৈতিক নেতৃত্ব ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। তখন শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব কোনো দিকনির্দেশনা দিয়ে যাননি। ২৫ মার্চের পর বাংলাদেশের মানুষ হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছিল। তারা ভেবেছিল তাদের স্বপ্ন শেষ।
তাদের সবকিছু ভেঙে পড়েছিল। তারা কখনোই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না এই ভাবনায় হতাশ হয়ে পড়েছিল। এই অবস্থায় কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তিনি দেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন। জিয়াউর রহমানের এই স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে মানুষ আবার হতাশা থেকে বেরিয়ে এসে শক্তি ও সাহস পায়। তাঁর কথায় মানুষ অভয় পায়। তখন মানুষ নতুন করে চিন্তা করতে থাকে। তখন মানুষ ভাবতে থাকে দেশের একটা ভবিষ্যৎ আছে।
জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তিনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু সেক্টরের নেতৃত্ব দিয়েছেন। যে কারণে যুদ্ধের পর তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর যে বিশাল অবদান, তা অস্বীকার করা কোন উপায় নেই। তিনি একদিকে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, আবার দেশের স্বাধীনতার ঘোষণাও দিয়েছেন।
তিনি একজন মেজর ছিলেন, তাকে দেশের মানুষ চিনত না। কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়েই তিনি বাংলাদেশের ঘরে ঘরে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এভাবে তিনি বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে দেশের সংকটময় পরিস্থিতিতে আবারও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। পঁচাত্তরের নভেম্বরে খালেদ মোশারফের নেতৃত্বে যে অভ্যুত্থান হয়েছিল, সেই অভ্যুত্থানের পর দেখা গেল দেশ সরকারশূন্য অবস্থায় পড়ে গেছে। ৪-৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে কোনো সরকার ছিল না। আবারও মানুষ চরম হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে গেল। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে উঠল। ওই সময়ে জিয়াউর রহমানকে বন্দি করা হয়েছিল। সৈনিকদের মধ্যে জিয়াউর রহমান অনেক জনপ্রিয় ছিলেন। সে কারণেই সৈনিকরা তাকে মুক্ত করে। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি দেখেন দেশের বিশৃঙ্খল অবস্থা। তিনি সেই বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে দেশকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। তিনি অনেক সাহসিকতার সঙ্গে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যার ফলে আমাদের সেনাবাহিনী রক্ষা পায়। সেনাবাহিনী যদি সেদিন রক্ষা না পেত, তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপদের সম্মুখীন হতো।
জিয়া এখনও প্রাসঙ্গিক, তাঁর কালজয়ী আদর্শই বাংলাদেশের পথ : বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারুফ কামাল খান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান অতি অল্প সময়ে দেশ ও জাতির স্বার্থে যুগান্তকারী যেসব ভূমিকা পালন করেছেন তা সত্যিই বিস্ময়কর। সেই বিবেচনায় গত কয়েক দশকের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার চোখে পড়ার মতো তাঁর চেয়ে বড় কোনো নেতা নেই। একটি দুর্বল জাতির ভঙ্গুর রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিয়ে তিনি অনেক পরাক্রান্ত দেশের নেতাদের ছাপিয়ে নিজেকে অনেক উঁচুতে স্থাপন করতে পেরেছিলেন।
বাসসের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, জিয়ারউর রহমান ব্যক্তিজীবনে সততা, সাহস, বীরত্ব, আড়ম্বরহীনতা, দেশপ্রেম, ঔদার্য, মহত্ব, সহিষ্ণুতা, সংযম ও দূরদর্শিতার প্রতীক ছিলেন। দৃঢ়তা ও কোমলতার মিশ্রণ তাঁর চরিত্রের এক অনিন্দ্যসুন্দর দিক। মাত্র সাড়ে ৪৫ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনে তিনি অসাধারণ যেসব কাজ করে গেছেন সেসবের যেকোনো একটির জন্যই তিনি ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকতে পারতেন।
পাকিস্তানি আমলে বাঙ্গালীদেরকে ভীরু ও কাপুরুষ হিসেবে চিত্রিত করে বলা হতো এরা নন-মার্শাল রেস বা অযোদ্ধা জাতি। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে অসাধারণ বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের মাধ্যমে জিয়া সেই প্রচলিত ধারণা পাল্টে দেন। এতে যে আত্মবিশ্বাস জন্ম নেয় সেই দৃঢ়তাই বাঙ্গালী সৈনিকদেরকে মুক্তিযুদ্ধের পথে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ১৯৭১ সালে বিদ্রোহ করে তিনি বেতার তরঙ্গে স্বাধীনতার ঘোষণা ছড়িয়ে দিয়ে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেন। বাঙ্গালীর বিদ্রোহ ও প্রতিরোধকে তিনি বৈধ বিপ্লবে ও মুক্তিযুদ্ধে উন্নীত করেন। ১৯৭৫ সালে সৈনিক-জনতার সংহতির মধ্য দিয়ে সংঘটিত বিপ্লব তাঁকে জাতীয় নেতৃত্বের আসনে স্থাপন করলে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব অর্জিত হয়। তিনি স্বাতন্ত্র্য ও মর্যাদাম-িত জাতীয় পরিচিতি এনে দেন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে সংজ্ঞায়িত করার মাধ্যমে।
তিনি দেখিয়ে দেন, সৈনিক-জনতার মেলবন্ধনই বাংলাদেশের মতো ক্ষুদ্র ও দুর্বল রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার উপায়।
মারুফ কামাল বলেন, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার। গুপ্ত ও অনিয়মতান্ত্রিক তৎপরতা থেকে ডান ও বামপন্থী দলগুলোতে প্রকাশ্য ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনেন। রাজনীতিতে তিনি জনগণকে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী করেন এবং যেকোনো মৌলিক বিষয়ে গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত ও অনুমোদন নেয়াকে বাধ্যতামূলক করেন। তিনি বাক-ব্যক্তি-সংবাদপত্র ও বিচারবিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান উৎপাদন ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করাই রাজনীতির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হিসেবে ঘোষণা করেন। হতাশা কাটিয়ে তিনি দেশজুড়ে কর্মযজ্ঞ ও কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন। তিনি গার্মেন্টস শিল্পের এবং বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির পাইওনিয়ার ছিলেন। তিনি সেচের ব্যবস্থা, খাল খনন, উচ্চ ফলনশীল শস্য চাষের মাধ্যমে কৃষিতে বিপ্লব আনেন। তিনি নারীদের সামনে নিয়ে এসে জাতীয় উন্নয়ন ও কর্মযজ্ঞে শামিল করেন। যুব সমাজ এবং শিশুদের কল্যাণ ও বিকাশে তিনি যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
মারুফ কামাল বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে ধর্মবিদ্বেষের স্থলে ধর্মীয় মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেন এবং সাম্প্রদায়িকতাকে নিরুৎসাহিত করেন। তিনি পার্বত্য অঞ্চলকে নিয়ে আসেন মূল স্রোতধারায়। ১৯ দফা কর্মসূচির ছোট ছোট ঘোষণা কার্যকর করে তিনি অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানসহ মৌলিক চাহিদাবলী পূরণ ও দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার পথ অনুসরণ করেন। আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় তিনি সফল হন। সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করেন। তিনি বিকল্প প্রতিরক্ষা শক্তি হিসেবে আধা-সামরিক বাহিনী গড়ে তোলেন। এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, জিয়াউর রহমান মুসলিম উম্মাহ’র ঐক্য ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠায় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি পানিবন্টনসহ ভারতের সাথে বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে দক্ষ কূটনৈতিক নেতৃত্বের প্রমাণ দেন। তিনি সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা ও উদ্যোক্তা ছিলেন। আধুনিক বাংলাদেশের তিনি রূপকার এবং এই রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় সব প্রথা ও প্রতিষ্ঠান তিনি গড়ে দিয়ে গেছেন। তাই জিয়া এখনও প্রাসঙ্গিক। তাঁর কালজয়ী আদর্শই বাংলাদেশের পথ। এই পথ হারানো চলবে না।