রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. মিজবাহ উর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর জুট ব্যবসায়ী মো. মনিরকে হত্যার অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় আনিসুলকে গ্রেপ্তারসহ ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। অপর দিকে গণ অধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মনকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মোশাররফ হোসেন ও বাবুল সরদার চাখারীর ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন উপপরিদর্শক বিমান তরফদার। শুনানি শেষে আদালত আনিসুলের পাঁচদিন ও অপর দুজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
হত্যা মামলার অভিযোগে জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানার চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী গত ১৪ মার্চ শাহবাগ হত্যা মামলা করেন।
হত্যাচেষ্টা মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের গুম, খুন, নিপীড়ন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এতে দেশের সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদসহ অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দল এই মহাসমাবেশের ডাক দেয়। এতে ভুক্তভোগী বদরুল ইসলাম সায়মন অংশ নেন। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আসামিরা অতর্কিতভাবে হামলা করে।
এ সময় আসামিদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে বাদী নিজে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত ২৯ এপ্রিল ভুক্তভোগী গণ অধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মন বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানা হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৫ জনকে আসামি করা হয়।