রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
লালমনিরহাটে ৫ সংস্কৃতি কর্মীকে গুণীশিল্পী সম্মাননা প্রদান পাথরঘাটায় চিকিৎসক সংকট: ২৯ পদের বিপরীতে মাত্র ২ চিকিৎসক, মানববন্ধনে ক্ষোভ প্রকাশ মঠবাড়িয়ায় ইউপি সদস্যকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানববন্ধন শ্রীমঙ্গলে সপ্তাহব্যাপী টি টেস্টিং ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন চট্টগ্রাম বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় তৃতীয় ফটিকছড়ির মেয়ে বুশরা ঢাকার মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা রংপুরে ৬ কিমি পায়ে হেঁটে বিক্ষোভ তাড়াশে মানবিক সহায়তার ঘর পেলেন গৃহহীন হামিদা অনিন্দ্য সুন্দর বিলাসছড়া লেক প্রকৃতিপ্রেমীদের মাঝে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে প্রকৃতি, মানুষ আর সংস্কৃতির গল্পে ‘দৃষ্টিনন্দন কালীগঞ্জ’ কয়রা থানা পুলিশের অভিযানে বিষাক্ত চিংড়ি জব্দ, ২ বছরের সাজা ও পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করতে চায় ইসরায়েল

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫

ইসরায়েল-ইরানের মধ্যকার সংঘাত যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দুজনেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তবে খামেনির ওপর যদি সরাসরি হামলা চালানো হয়, তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে এক বিপজ্জনক সংকটে ঠেলে দিতে পারে।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হলেন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তি। গত প্রায় চার দশক ধরে তিনি ইরানকে শাসন করে আসছেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, ইরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি এগিয়ে নিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও আন্দোলন দমন করেছেন।
সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে খামেনি ইরানের সরকার, বিচার বিভাগ, সামরিক বাহিনী, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এবং কুদস ফোর্স–এর ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখেন।
এই কুদস ফোর্সই হামাস, হেজবুল্লাহ এবং হুথি বিদ্রোহীদের মতো প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে। খামেনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৯ সালে ইরানের পবিত্র নগরী মাশহাদে। তিনি ছিলেন আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি’র শিষ্য, যিনি ১৯৭৯ সালের ইরান বিপ্লবের মাধ্যমে দেশটির প্রো-ওয়েস্ট রাজতন্ত্রকে উচ্ছেদ করেন ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৮১ সালে খামেনি একটি হামলার শিকার হন, যাতে তার ডান হাত স্থায়ীভাবে বিকল হয়ে যায়। খোমেনির মৃত্যুর পর ১৯৮৯ সালে, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার পর থেকে খামেনি ইরানের সীমান্ত ছাড়িয়ে আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে মনোযোগ দেন। অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স নামে পরিচিত একাধিক মিত্র গোষ্ঠী গড়ে তোলেন যা লেবানন থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত বিস্তৃত।
এই দীর্ঘ সময় ইরান সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও, সব কিছু বদলে যায় যখন ৭ অক্টোবর ২০২৩-এ হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এর পর গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ, হেজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ এবং ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র ও শীর্ষ সামরিক নেতাদের ওপর ইসরায়েলের বিমান হামলা ইরানের অজেয় ভাবমূর্তি ভেঙে দেয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প খামেনিকে সহজ লক্ষ্যবস্তু বলে অভিহিত করেছেন। এই মন্তব্য কেবল কূটনৈতিক উত্তেজনা নয়, বরং একটি সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের সংকেতও বহন করে।
একজন সর্বোচ্চ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত যে কতটা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, তা কল্পনা করাও কঠিন। এই মুহূর্তে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতির কেন্দ্রে। সূত্র: সিএনএন




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com