গুমের সঙ্গে জড়িত সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে নির্দেশনা পেলে সেনাবাহিনী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাসদর। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস ‘এ’-তে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে থাকা সদস্যদের মধ্যে যারা বিভিন্ন সংস্থায় ডেপুটেশনে কর্মরত, তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।’
কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সদস্যদের ডেপুটেশনে পাঠালে তারা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকে না। অভিযোগ উঠেছে, কয়েকজন সদস্য গুমের সঙ্গে জড়িত। তদন্তে যদি বিষয়টি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
ভুক্তভোগী পরিবারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি কেউ নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সেনাবাহিনীর কাছে সহযোগিতা চান, তাহলে আমরা যথাযথভাবে সহযোগিতা করব।’
থানাগুলোতে অস্ত্র লুটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।’ বাকি ২০ শতাংশ নির্বাচনের আগেই উদ্ধার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কিশোর গ্যাং প্রসঙ্গে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এরই মধ্যে ৪০০ জনেরও বেশি কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। অলিতে-গলিতে সেনাবাহিনী সব সময় থাকতে পারে না, তবে তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
গুমের সঙ্গে জড়িত সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে: গুমের সঙ্গে জড়িত সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সেনা সদর। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য প্রেষণে বিভিন্নস্থানে কর্মরত থাকেন। ওই সব প্রতিষ্ঠানগুলো সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে না। বিগত সময়ে কিছু সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে সেনা সদরের উদ্যোগে এক প্রেস ব্রিফিং-এ এ তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে সেনা সদরের মিলিটারি অপারেশন্স ডিরেক্টরেটের (কর্নেল স্টাফ) কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনী সিএমএইচ-গুলোতে জুলাই আন্দোলনে ৪ হাজার ৭৯০ জনকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে ২২ জন ঢাকা সিএমএইচে-এ ভর্তি আছেন।
তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সেনাবাহিনী নিয়োজিত আছে। কিছুদিন আগে রথ যাত্রায় সেনাবাহিনী কর্তৃক নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে। প্রায় ৪০০ জন কিশোর গ্যাং এর সদস্যকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, পার্বত্য এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৩ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে ১ সেনা সদস্য মারা গেছে।