শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নে মসজিদের নির্মানের জন্য দানের ২৩ লক্ষ টাকার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা আত্মস্যাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ছাইফুল ইসলাম মিন্টু নামে এক ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে। মসজিদের দানের টাকা নয়ছয়ের কারনে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় ভাবে এটির কোন সুরাহা না মেলায় মসজিদ কমিটির পক্ষ হতে ময়মনসিংহ বিভাগীয় পুলিশের ডিআইজি কাছে একটি অভিযোগ/আবেদন দায়ের করা হয়েছে। এরপর আবেদনের প্রেক্ষিতে শেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) সরজমিনে এ বিষয়ে তদন্ত করেছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছে সজিবের দেয়া ২৩ লক্ষ টাকার মধ্যে ১৩ লক্ষ টাকা খরচ করে বাকী ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন ওই ব্যবসায়ী। জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে ওই এলাকার খন্দকার পাড়া, মধ্য আলিনা পাড়া, বড়বাড়ি ও পূর্ব আলিনা পাড়া জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ওই গ্রামের ঢাকার জনৈক ব্যবসায়ী সজিব হোসেন স্থানীয় রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী মোঃ ছাইফুল ইসলাম মিন্টুর একাউন্টে বিভিন্ন সময় ২৩ লক্ষ টাকা পাঠায়। অভিযুক্ত মিন্টু নকলা পৌর শহরের মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক। আবার ওই ব্যবসায়ী মিন্টু ও সজিবের বাড়ী একই গ্রামে। এই দুজনের মধ্যে চুক্তি হয় মসজিদের মালামাল দিয়ে গ্রহীতার স্বাক্ষর নিতে হবে। টাকা দেওয়ার বছর খানেক পরে ব্যবসায়ী মিন্টু সজিবকে জানান ২৩ লাখ টাকা শেষ হয়ে গেছে এবং খরচ বাবদ আরও ৫ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে। সজিব খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন মিন্টুর দেওয়া মালামালের হিসাবের সাথে মসজিদ কমিটির গ্রহন করা মালামালের যথেষ্ট গরমিল রয়েছে। এক পর্যায়ে কমিটিসহ স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ী মিন্টুর মধ্যে বেশ উত্তেজনা শুরু হয়। সম্প্রতি বিরোধ মিটাতে মিন্টুর আরেক ভাই ফরিদুজ্জামান পদক্ষেপ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। মসজিদে লাগানো মালামালের সঠিক হিসাব করে সিদ্ধান্ত দিতে চাইলেও মিন্টু মানেননি। এই বিষয়ে সরজমিনে মিন্টুর দেয়া সকল ভাউচারে দেখা গেছে কোথাও মালামাল গ্রহনকারীর সাক্ষর নেই। এলাকার প্রতিটি মানুষ মিন্টুর আচরনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এবিষয়ে অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবী করে ব্যবসায়ী মিন্টু বলেন, সকল মালামাল তৎকালীন মধ্যে আলিনাপাড়া মসজিদের সভাপতি সদ্য প্রয়াত আমার বাবা জয়নাল আবেদীনের মাধ্যমে মালামাল ও টাকা লেনদেন হয়েছে। আমি স্বচ্ছভাবে সকল হিসাব যথা সময়ে বুঝিয়ে দিয়েছি।পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে আমাকে হেয় করতে মিথ্যে অভিযোগ দাড় করানো হয়েছে। এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মোঃ মনির হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে এবং যে কোন সংঘর্ষ এড়াতে দুথপক্ষকে শান্ত থাকার জন্য অনুুরোধ করা হয়েছে।