পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে টিম ওয়ার্কেও দুর্নীতি আছে। তবে ব্যক্তিগত দুর্নীতিই বেশি। আমি বিশ্বাস করি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুর্নীতিবাজ মানুষের সংখ্যা কম। তবে দুর্নীতি হলে তা প্রতিকারের ব্যবস্থা আছে। বিধি-বিধানের বাইরে আমরা তো কিছু করতে পারব না। সরকার প্রধান দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণের শক্ত ভূমিকার প্রতি সরকারের দৃষ্টি রয়েছে। কেউ দুর্নীতি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) ‘উন্নয়ন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনের খসড়া রূপরেখা চূড়ান্তকরণ’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম। খসড়া রূপরেখা উপস্থাপন করেন ডিজিটাল ডাটাবেইজ সিস্টেম ও আর্কাইভ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এনইসি-একনেক ও সমন্বয় অনুবিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ইউনূস মিয়া।
পরিকল্পামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘দুর্নীতি করলে কী হবে তার বিধানও আছে। তবে দুর্নীতি নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। জনগণের মধ্যে যখন এত আলোচনা হচ্ছে, তখন বুঝতে হবে নিশ্চয়ই কিছু না কিছু ভিত্তি আছে। আলো-আঁধারির বিষয় আছে। এটাকে এড়িয়ে চলতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এতদিন সম্ভাব্যতা যাচাই নিয়ে ফরম্যাট না থাকায় একটি বড় দুর্বলতা ছিল। আমি মনে করি, সরকারি অর্থ ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সম্ভাব্যতা যাচাই করা প্রয়োজন। এই রূপরেখা বাংলায় করতে হবে। তাছাড়া শুধু কাগজে কলমে থাকলেই হবে না। যারা ব্যবহার করার কথা তারা সঠিকভাবে ব্যবহার করছে কিনা সেটি তদারকি করতে হবে। আমি ইঞ্জিনিয়ার নই। তাই ওই বিষয়টি বলতে চাই না। কিন্তু অর্থ ব্যয়ের বিষয়টি বুঝি। তাছাড়া মানুষ এখন শিক্ষিত বেশি। সেটি পরিমাণ এবং গুণগত মানের দিক থেকে বেড়েছে। তাই উন্নয়ন প্রকল্পের প্রতি মানুষের ব্যাপক আগ্রহ আছে। মানুষ জানতে চায়। তারা অনেক বেশি সচেতন।’ পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রথম পর্যায়েই সম্ভাব্যতা যাচাই আবশ্যক। এটি ভালোভাবে হলে তবেই পরবর্তী সময়ে সব কিছুই ভালো হবে।’
ইউনূস মিয়া বলেন, ‘প্রকল্প তৈরি পর্যায়েই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা গেলে পরবর্তী সময়ে আর কোনো জটিলতা থাকবে না। বেস্ট ইনভেসমেন্টের জন্য অবশ্যই সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। এ চিন্তা করেই একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি খসড়া রূপরেখা তৈরির আগে সবগুলো মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামত নিয়েছে। এখন খসড়াটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এই রূপরেখায় ১৩টি সেকশন রয়েছে। এসব সেকশনে বিস্তারিত বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।’