বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরে রক্তিম রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে শিমুল গাছের ফুল। শুধু ফুল আর ফুল পাতা নেই, ফুটন্ত এ ফুল যেন দৃষ্টি কেড়ে নেয় সবার মন। আর এই রক্ত লাল থেকে সাদা ধূসর হয়ে তৈরি হয় তুলা। কিন্তু এখন বিভিন্ন প্রযুক্তিতে তুলা তৈরি ও ফোম ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় শিমুল তুলা ব্যবহার অনেকটা কমে গেছে। আজ থেকে প্রায় দুই দশক আগে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় গাছে গাছে শোভা বর্ধন করতো এই শিমুল ফুল। তবে কালের বিবর্তনে ঋতুরাজ বসন্তে এখন আর যেখানে সেখানে চোখে পড়েনা রক্ত লাল শিমুল গাছ। মূল্যবান শিমুল গাছ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। সোমবার সকালে সান্তাহার পৌর এলাকায় হার্ভে স্কুল সড়কে রেলওয়ের জায়গায় দেখা মিলল ফুটন্ত ফুলের রক্ত লাল শিমুল গাছ। শুধু একটি নয় পাশাপাশি প্রায় ৫টি গাছ রয়েছে সেখানে। গাছে গাছে ফুটন্ত রক্ত লাল শিমুল যেন চারদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছে রঙ। সাতাঁহার মহল্লার রিপন হোসেন বলেন, শিমুল গাছ ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। গ্রামের মানুষ এক সময় আখের গুড় তৈরিতে শিমুলের রস ও কোষ্ঠ কাঠিন্য নিরাময়ে গাছের মূলকে ব্যবহার করতো। ইয়ার্ড কলোনী মহল্লার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, গ্রাম বাংলার মানুষদের এই শিমুল গাছ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিত। মানুষরা এই শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতো লেপ, তোষক, বালিশ। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন আর তেমন চোখে পড়ে না শিমুল গাছ। সান্তাহার নাগরিক কমিটির অন্যতম নেতা রবিউল ইসলাম রবিন বলেন, শিমুল গাছের কাঠ দিয়ে তৈরিকৃত ফার্নিচার খুব বেশি স্থায়ীত্ব হয় না। এছাড়া বিভিন্ন প্রযুক্তিতে তুলা তৈরি ও ফোম ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় শিমুল তুলা অনেকে ব্যবহার করছে না। ফলে শিমুল গাছ হারিয়ে যাওয়ার পথে।