বগুড়ার আদমদীঘির পার্শ্ববর্তী নওগাঁয় করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে এক সপ্তাহের বিশেষ লকডাউন। এ সময় গণপরিবহনগুলো যেন অবাদে চলাচল করতে না পারে এজন্য উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের প্রবেশদ্বারগুলো আটকিয়ে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের একাডেমি স্কুল ও সাবেক জয়পুরহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাঁশের বেরিকেট দিয়ে লাল কাপড় টাঙিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে গণপরিবহন ও বড় বড় যানবাহন সান্তাহার পৌর শহরে আর প্রবেশ করতে পারছে না। জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে গত ৩ জুন থেকে আগামী ৯ জুন পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ গণপরিবহনের চালকরাই নওগাঁর নিকটবর্তী বগুড়ার সান্তাহার পৌর শহরের পশ্চিম ঢাকা রোড নামক স্থান থেকে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন গন্তব্যে। ফলে গণপরিবহনে চলাচলকারি যাত্রীরা সহজেই সান্তাহারে প্রবেশ করে চলাফেরা করছেন। এ বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনকভাবে দেখে বগুড়া জেলা প্রশাসন।
এ কারণে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বগুড়া জেলা প্রশাসকের নিদের্শনা পেয়ে আদমদীঘি উপজেলা প্রশাসন সান্তাহার পৌর শহরের প্রবেশদ্বারে বাঁশের বেরিকেট দিয়ে লাল কাপড় টাঙিয়ে গণপরিবহণ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আনেন। এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন সান্তাহার পৌরসভা ও ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা। সান্তাহার পৌরসভার প্যানেল মেয়র জার্জিস আলম রতন বলেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নওগাঁয় এক সপ্তাহের বিশেষ লকডাউন। কিন্তু পাশর্^বর্তী সান্তাহার এলাকা থেকে গণপরিবহন ও জনসাধারণ চলাচল করবে বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। শুক্রবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা পেয়ে পৌরসভা ও ফাঁড়ি পুলিশের যৌথ উদ্যোগে শহরের প্রবেশদ্বারগুলো আটকিয়ে দেয়া হয়েছে। একই কথা বলেছেন সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবা হক বলেন, বগুড়া জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ‘নওগাঁ থেকে যেসব পয়েন্ট দিয়ে মানুষ সান্তাহারে প্রবেশ করছে সেসব পয়েন্ট আটকিয়ে দেয়া হয়েছে। পদক্ষেপ নিতে সান্তাহার পৌরসভা ও ফাঁড়ি পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করেছে। আগামী ৯ জুন পর্যন্ত গণপরিবহনে নওগাঁর মানুষ সান্তাহারে এবং সান্তাহারের মানুষ নওগাঁয় অবাদে চলাফেরা করতে যেন না পারে এজন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’