সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ও ছাত্র শিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারিসহ ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে, তারা কোন গোপন বৈঠক নয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিয়মিত রুটিন বৈঠক করছিল। এ সময় ককটেল উদ্ধার সম্পূর্ণ সাজানো নাটক, বিরোধী দলের ওপর সরকারের জুলুম নির্যাতনের অংশ ছাড়া আর কিছু নয়।
সূত্রে প্রকাশ,রবিবার (৩ এপ্রিল) রাতে শহরের সয়াধানগড়া মধ্যপাড়া মহল্লায় দারুল ইসলামী অ্যাকাডেমিতে গোপন বৈঠকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন: জেলা জামায়াতের আমির শাহীনূর আলম (৫০), জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি তরিকুল ইসলাম (২৪), সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ উদ্দিন (২৪), অফিস সম্পাদক আজিজুল হক (২২), সাবেক সভাপতি ইমরান হোসেন (২৫), শিবির নেতা রেজায়ানুল্লাহ সোয়েব (১৯), মনিরুল ইসলাম (২৫), আলামিন হোসেন (২২), শরীফুল ইসলাম (২৪), আইয়ুব আলী (২২), আবু বকর খান (২৩), আব্দুস সালাম (২২), মনিরুল ইসলাম সরকার (২০), জাকারিয়া (২৩) ও রবিউল ইসলাম (২১)। সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক খোকন সাহা জানান, দারুল ইসলামী অ্যাকাডেমিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা এসে নাশকতার উদ্দ্যেশ্যে গোপন বৈঠক করছিলেন। খবর পেয়ে রাতে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে আটক করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১০টি ককটেল বোমা উদ্ধার ও পাঁচটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্যের আইনের ধারায় মামলায় অভিযুক্ত করে তাদেরকে গতকাল সোমবার (৪ এপ্রিল) আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জামায়াতের একটি সূত্র জানায়, জামায়াত সরকার পরিবর্তন চায় নির্বাচনের মাধ্যমে। কিন্তু সরকার নির্যাতনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করার পরিকল্পনার নীল নকশার বাস্তবায়ন করতে তৃণপর্যায় থেকে নিয়ে কেন্দ্র বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা করাচ্ছে পুলিশকে ব্যবহার করে।