মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন

দেশে কালো টাকার পরিমাণ ৮৮ লাখ ৬১ হাজার কোটি: ড. আবুল বারকাত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ২২ মে, ২০২২

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত বলেছেন, ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর থেকে শুরু করে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত আমাদের হিসাবে বাংলাদেশে কালো টাকার পরিমাণ ৮৮ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা। গতকাল রবিবার (২২ মে) বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট পেশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ২০ লাখ ৫০ হাজার ৩৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট পেশ করেন তিনি। যা চলতি বাজেটের চেয়ে ৩ দশমিক ৪ গুন বড়। অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেটে কালো টাকা উদ্ধার ও পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে বাজেট ঘাটতি পূরণের কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে এই বিকল্প বাজেটে বৈদেশিক ঋণ ও ব্যাংক ঋণকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

অর্থনীতি সমিতির অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা ২০২২-২৩: একটি জনগণতান্ত্রিক বাজেট প্রস্তাব’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে আবুল বারকাত বলেন, আমরা গত ৪৬ বছরে পুঞ্জীভূত কালো টাকার মাত্র দুই শতাংশ উদ্ধারের প্রস্তাব করছি। যেখান থেকে এক লাখ ৭৭ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা আসবে। ওই ৪৬ বছরে বিদেশে অর্থপাচারের পরিমাণ ৮ লাখ কোটি টাকা। আমরা তার ১০ শতাংশ উদ্ধার করে বাজেটে আয় খাতে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তাব করেছি। যার পরিমাণ ৭৯ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। দুর্নীতি, অর্থপাচার ও কালো টাকা উদ্ধারে আমরা একটি স্বাধীন কমিশন গঠনেরও প্রস্তাব করছি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম। দেশের আয় বৃদ্ধি ও বাজেট ঘাটতি পূরণের বিষয়ে অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে অন্যতম উৎস হলো সম্পদ কর ও অতিরিক্ত মুনাফার ওপর কর। এছাড়া কালো টাকা উদ্ধার থেকে প্রাপ্ত অর্থ এবং পাচার ও বিদেশি নাগরিক থেকে প্রাপ্ত কর। তাই আমরা ওই টাকা সংগ্রহের কথা বলছি। অনুষ্ঠান থেকে মেগা প্রকল্পে ঋণের ঝুঁকিতে সতর্ক করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে বারকাত বলেন, দেশের মেগা প্রকল্পের বৈদেশিক ঋণ যখন শোধ করা শুরু হবে, তখন আমরা সরাসরি রেড ঝুঁকিতে চলে যাব। সংকট সমাধানে আর কোনো মেগা প্রজেক্ট নেওয়া যাবে না, কোনও প্রজেক্টের মেয়াদ বাড়ানো যাবে না।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com